জাকার্তার অবস্থান জলাভূমিতে। আবার শহরটির মধ্য দিয়ে ১৩টি নদীও প্রবাহিত হয়েছে।
এছাড়াও শহরের বেশ কিছু জায়গায় প্রত্যেক বছর ২৫ সেন্টিমিটার জায়গা তলিয়ে যাচ্ছে। এটি অন্য উপকূলীয় মেগা শহরের থেকে দ্বিগুণ।
জাকার্তা শহর প্রত্যেক বছর গড়ে ১ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার তলিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া শহরটির প্রায় অর্ধেক অংশ এখন সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে অবস্থান করছে। এর প্রভাবও জাকার্তায় আপাত দৃশ্যমান।
মুয়ারা বারু নামে এক জেলায় পুরো একটি সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি এক সময় মাছ কোম্পানির ভবন হিসাবে ব্যবহার হতো। তলিয়ে যাওয়া এ ভবনটিতে নিচতলায় বন্যার পানি আটকে থাকে। কারণ এর আশপাশের জায়গাগুলো অপেক্ষাকৃত উঁচু এবং এখান থেকে পানি বের হতে পারে না। এভাবে তলিয়ে যাওয়া ভবনগুলো এ ভবনটির মতো কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভবন মালিকরা এ ভবনগুলোর সংস্কার করেন। কিন্তু শহরের মাটি এভাবে ডেবে যেতে থাকলে তখন কি করার থাকবে, এমন প্রশ্ন খুব গুরুত্বপূর্ণ। মুয়ারা বারুর এক বাসিন্দা বলেন, রাস্তাগুলো প্রায়ই পানিবদ্ধ থাকে। প্রত্যেকবছর এ অঞ্চলের ভূমি ডেবে যাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জাকার্তার উত্তরাঞ্চল তানজুং প্রিয়ক অনেক আগ থেকেই বন্দর শহর। এখন শহরটি ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম ব্যস্ত বন্দর শহর। এখন জাকার্তার এ অংশে ১৮ লাখ মানুষ বসবাস করেন।
ফরচুনা সোপিয়া নামে একজন এ অঞ্চলের একটি অভিজাত ভবনে বাস করেন। ভবনটি থেকে সমুদ্রও দেখা যায়। তিনি বলেন, আমার বাড়ি ডুবে যায় না কিন্তু প্রত্যেক ছয়মাস অন্তর বাড়ির দেয়াল ও পিলারের ক্ষতি হয়।
এরকম পরিস্থিতিতে সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়ে সমুদ্র তীরবর্তী ছোট ছোট বাড়িতে যাদের বসবাস। প্রত্যেক বছর এ অঞ্চলে জোয়ার ভাটা ৫ সেন্টিমিটার উঁচু হচ্ছে। যারা এক সময় তাদের বাড়ি থেকে সমুদ্র দর্শন করতেন, তারা এখন বাড়ি থেকে বাঁধ দেখেন।
সোপিয়া ফরচুনা বলেন, এখানে বসবাস করা বিপজ্জনক। এখানকার বাসিন্দাদের এ ঝুঁকি মেনে নিয়ে বসবাস করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
এএইচ/এএ