আরেকটি সমস্যা হলো সোভিয়েত আমলে নির্মিত বেশির ভাগ সড়কের মধ্যে দিয়ে বর্তমানে আন্তর্জাতিক সীমানা চলে গেছে। ফলে এসব সড়কে সীমান্ত প্রোটোকল মেনে চলতে গিয়ে অনেক সময় নষ্ট হয় পর্যটকদের।
সম্প্রতি কিরগিস্তানের অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধরা পড়ে এক ফটোগ্রাফারের ক্যামেরায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত সেই ছবিগুলো পাঠককে নিয়ে যাবে যেন পরাবাস্তব জগতে। পেছনে ইয়েলস্তিন পর্বত, সবুজ উপত্যকায় চরে বেড়াচ্ছে বন্যঘোড়া। কিরগিজস্তানের গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনও একমাত্র পরিবহন ব্যবস্থা ঘোড়া। আলা-কুল হ্রদের স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ পানি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই লেক দেখতে চাইলে একটানা ৫ ঘণ্টা হাঁটতে হবে পর্যটকদের। আলা-আরকা পর্বতমালার ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে একটি ঈগল। মেঘে সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে অদ্ভুত আভা সৃষ্টি হয়েছে পর্বতের গায়ে। কিরগিজস্তানের বেশিরভাগ অঞ্চলেই দেখা মিলবে না কৃত্রিম আলোর। এখানকার নক্ষত্রময় রাতের আকাশ পর্যটকদের নিয়ে যাবে অন্য এক জগতে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে স্বচ্ছ লেকের জলে প্রতিফলিত হচ্ছে নক্ষত্রের আলো। দেখা মিলবে অসংখ্য উল্কার। ভোরের আলোয় সং-কুল লেক। পাহাড়ঘেরা অসাধারণ লেকটির অবস্থান ৩০০০ মিটার উচ্চতায়। স্কাজকা গিরিখাদের এবড়োখেবড়ো এলাকা। স্থানীয় ভাষায় স্কাজকা শব্দের অর্থ রূপকথা। এখানে এলে মনে হবে যেন সত্যিই রূপকথার রাজ্যে চলে এসেছেন। কিরগিজস্তানের কিছু এলাকায় যেতে হলে ৩০০০ মিটার পর্যন্ত উঁচু একাধিক গিরিখাদ পার হয়ে যেতে হয়। কিরগিজস্তানের পাহাড়ি অঞ্চলে দেখা মিলবে হাজারো প্রজাতির উইন্ড ফ্লাওয়ার। ছবিটি ৪০০০ মিটার উঁচু বার্স্কুন ভ্যালির।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৮
এনএইচটি/এএ