এই আবিষ্কার সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লেমসন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট মাতে আদামকোভিকস্ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বৃহস্পতিতে পানির সন্ধান অনেক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। পানির উপস্থিতির কারণে গ্রহটিতে ‘কখনও প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা’ এই ধারণাটিকে পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া যাবে না।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট গর্ডন বিজোরাকারের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড থেকে তাপ সনাক্তকারী টেলিস্কোপের মাধ্যমে বৃহস্পতির এই ‘গ্রেট রেড স্পট’ নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা। সেখানে তাপ বিকিরণ খোঁজার সময় টেলিস্কোপে হঠাৎ জলের কণার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের সন্ধান পান তারা।
সংবাদমাধ্যমকে বিজোরাকার বলেন, এর আগে বৃহস্পতির উপগ্রহে পানি পাওয়া গেছে। তাই বৃহস্পতিতে পানির উপস্থিতি বিচিত্র নয়।
জানা যায়, গ্রেট রেড স্পট নামের স্থানটি ঘন মেঘে আবৃত এবং সেখান থেকে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক শক্তি খুব সহজে বেরিয়ে যেতে পারে না। এ কারণে সেখানে জলের সন্ধান পাওয়া বিজ্ঞানীদের জন্য আরও বেশি কঠিন হয়ে উঠতে পারতো।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৮
এনএইচটি