যেযার মতো করে কাজ করছেন। তবে সব কাজ থেকে ভিন্ন কাজে (বাইসাইকেল ও রিকশা মেকানিক) ব্যস্ত আছেন আসমা।
এসব বিষয় নিয়ে রোববার (২১ অক্টোবর) বাংলানিউজের সঙ্গে কথা হয় তার। আসমা বাংলানিউজকে জানালেন স্বাবলম্বী হওয়ার গল্প।
আসমা বলেন, বরিশালের হিজলায় আমাদের গ্রামের বাড়ি। অভাবের মধ্যেই আমার বিয়ে হয়। সংসারে দুই সন্তান এসেছে। দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ঢাকার আসি। আমার স্বামী (আব্দুল জব্বার সর্দার) মালিবাগের সোহাগ কাউন্টারের পাশে রিকশা- বাইসাইকেল মেকানিকের কাজ করতেন। একজনের আয়ে চারজনের সংসার ঠিক মতো চলে না। পরে তিনবছর ধরে আমিও কাজ শুরু করি।
তিনি বলেন, প্রথমে কাজ করতে পারতাম না। অনেকেই নানা কথা বলতেন। কারো কথাই আমি কান দেয়নি। আমার স্বামী আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন। আজ তার উৎসাহে সব কাজ শিখেছি। বাইসাইকেল, ভ্যান-রিকশার সব কাজই আমি করতে পারি। দু'জন মিলে দিন শেষে এখন প্রায় ৮শ টাকা পর্যন্ত আয় আসে।
আসমা বলেন, এক সময় পড়ালেখা করার প্রবল ইচ্ছা ছিল। কিন্তু অভাবের সংসারে সেটা স্বপ্নই থেকে যায়। আমি পড়ালেখা না করতে পারলেও দুঃখ নেই। এখন আমার ছেলে-মেয়ে পড়ালেখা করছে। মেয়েটা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী, ছেলে পড়ছে প্রথম শ্রেণিতে। তাদের বড় সরকারি কর্মকর্তা বানাতে চাই। তাদের মানুষের মতো মানুষ বানাতে চায়।
কাজ করতে এসে কখনও কোনো বাধার মুখে পড়ছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকেই আসে বিভিন্ন কথা বলে। আমি কোনো কথা শুনি না। আমি আমার কাজ চালিয়ে যায়।
আমনার স্বামী আব্দুল জব্বার সর্দার বলেন, আসমা খুব মেধাবী। তাকে একটা কাজ অল্প বুঝিয়ে দিলে দ্বিতীয়বার আর বলা লাগেনি। সে নিজেই সেটা করতে পারে। এখন ও (আসমা) চেয়ে ভালো মিস্ত্রি হয়েছে। সব কাজ ভালোভাবেই করতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৮
ইএআর/এএটি