শিস দিয়েই তারা তাদের ভাব ফুটিয়ে তোলেন। ফলে পাখির এ ভাষার মতো শিস হয়ে ওঠে ভাষা বিনিময়ের অন্যতম মাধ্যম।
পাহাড়ি এ গ্রামে শিসের শব্দ ছড়িয়ে যায় এক পাহাড় থেকে আর এক পাহাড়ে। প্রয়োজনে শিস দিয়ে একজন আরেকজনকে ডাকেন। আবার অন্যজন এভাবেই তার ফিরতি জবাব দেন। এতে কোনো শব্দ উচ্চারণের প্রয়োজন পড়ে না। ভাব বিনিময়ের বিস্ময়কর এ মাধ্যম আমাদের নিয়ে যায় ৫শ বছর পিছনে। যা তুরস্কের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এ গ্রামবাসীরা এখনও ধরে রেখেছেন।
বলা হচ্ছে, শুধু শিস দিয়েই ২৫০ এর বেশি শব্দের অর্থ বুঝিয়ে দেন তারা। সারা পৃথিবীজুড়ে মাত্র ১০ হাজার মানুষ এভাবে ভাব বিনিময় করতে পারেন। ফলে তারা বিরল এ মাধ্যমকে বাঁচিয়েও রাখতে চান। এজন্য স্থানীয় স্কুলগুলোতে বাচ্চাদের এ বিষয়ে শেখানো হয়। এছাড়াও এ নিয়ে বার্ষিক একটি উৎসবও আয়োজন করা হয়। যাতে করে বিশ্বজুড়েই ভাব বিনিময়ের মাধ্যমটি ছড়িয়ে যায়। ২০১৭ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৮
এএইচ/এএ