শনিবার (২৪ নভেম্বর) রাধারমণের সুরে রাজধানীর সুর পিয়াসীদের বিমোহিত করে শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে শেষ হলো তিনদিনের ‘রাধারমণ সঙ্গীত উৎসব ২০১৮’।
শেষ দিন সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুরের শিল্পীরা নিজেদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠানস্থলে মূর্ত করে তোলে গানের মানুষ রাধারমণকে।
আসরের শেষ দিনের প্রথমেই আন্তর্জাতিক রাধারমণ পরিষদের শিল্পীরা পরিবেশন করে ‘বাঁশিত ধইরা মারলো টান’, ও ‘রইলো না আর জাতিকূল’। এরপর একক কণ্ঠে তুলিকা ঘোষ চৌধুরী গেয়ে শোনান ‘শ্যাম দেও আনিয়া বৃন্দে গো’, শ্যামের বাঁশি’, দেবদাস চৌধুরী অঞ্জন গেয়ে শোনান ‘তুমি চিনিয়া মানুষের সঙ্গ লইও’, ও ‘বিনোদিনী গো তোর বৃন্দাবন’, কৃষ্ণচন্দ পরিবেশন করেন ‘শোন ওগো প্রাণ সজনী’, ও ‘রাই জাগে গো’, বাউল তছকির আলীর কণ্ঠে গীত হয় ‘চাইনা আমি রাজা হতে’, ‘ললিতা গো লাগাল পাইলে’।
এছাড়া আরো সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাউল জোবায়ের বখত সেবুল, বাউল হীরা মোহন দাস, কুমকুম চন্দ, সুযোগ চন্দ, কাশেম আল আজাদ, মো. মোশাররফ হোসেন, শাহ মো. হারুন মিয়া, ইন্দ্রজিৎ সূত্রধর, মাকসুদুর রহমান দীপ, সুমনা দাস, শরীফা নাজনীন, সেলিম রেজা, অনিমেষ বিজয় চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সম্মিলিত কণ্ঠে সঙ্গীত পরিবেশন করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের ধামাইল দল।
‘ভ্রমর কইয়ো গিয়া’ গানের লোককবি ও সুরকার রাধারমণ দত্তকে স্মরণ করে এবার অনুষ্ঠিত হলো উৎসবটির ৮ম আসর। তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করে শিল্পকলা একাডেমি ও রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র।
সহযোগিতায় ছিল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ও গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
মরমী শিল্পী রাধারমণের তিরোধান দিবস উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে গত ২২ নভেম্বর শুরু হয় এই আয়োজন। তার রচিত ধামাইল গান সিলেট ও ভারতের বাঙালিদের কাছে ব্যাপক সমাদৃত। কৃষ্ণ বিরহের আকুতি আর না পাওয়ার ব্যথা কিংবা সব পেয়েও না পাওয়ার কষ্ট তাকে সাধকে পরিণত করেছে।
তাই তো এই উৎসবে গীত হয় রাধারমণের কীর্তন, দেহতত্ত্ব, ধামাইল ও ভাটিয়ালি গান।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
এইচএমএস/এমএ