শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) মহানগরীর হোটেল সিটি ইনের বিপরীতে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির প্রাঙ্গণে খেজুরের রসের ঘ্রাণে ভরে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। কনকনে শীতে নগরবাসীকে কাঁচা খেজুর রস ও হরেক রকম পিঠার স্বাদ দিতে দ্বিতীয়বারের মতো এ রসমেলার আয়োজন করে খুলনা ফুডব্লগারস।
টাটকা রসের স্বাদ আর মচমচে পিঠা পায়েশ খেতে মেলার প্রথম দিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রসের রসিকদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দিনের চেয়ে সন্ধ্যার পর মানুষের ভিড় বেশি হয়। শিশুদের নিয়ে এসেছিলেন অনেকেই। খেজুরের রস পানের সাথে যুক্ত হয়েছিল ছবি ও সেলফি তোলার হিড়িক।
বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ মেলায় শৈশবের রস খাওয়ার স্মৃতিচারণ করেছেন, বলেছেন নানা গল্প। গাছ থেকে সদ্য নামিয়ে আনা ঠাণ্ডা খেজুর রস মেলা প্রাঙ্গণে আসতে না আসতেই শেষ হয়ে যায় বলে জানান মেলা কর্তৃপক্ষ।
মেলায় আসা ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা জানান, খাঁটি রস ও হরেক রকমের পিঠা, পুলি ও পায়েশের মৌ মৌ গন্ধে যেন মন ভরে গেছে। ঘটা করে খেজুরের রস খাওয়ার এমন সুযোগ মিস না করতেই মেলায় আসা।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থী তুনাজ্জিনা তিমা বলেন, রস মেলায় এসে খাঁটি রস ও পিঠা পুলির স্বাদ পেয়েছি। মেলা যেন খেজুরের টাটকা রস খাওয়ার উৎসবে পরিণত হয়েছে।
রূপার রান্না ঘরের মালিক রোমানা রূপা বলেন, শহুরে পরিবেশে গ্রামীণ আবহের ছোঁয়া দিতে রস মেলার আয়োজন। পরিবার-পরিজন নিয়ে মেলায় ছুটে এসেছেন অনেকেই। রসসহ রসের পিঠা পুলির স্বাদ নিয়েছেন তারা। প্রথম দিন বেচাকেনা ভালোই হয়েছে।
খুলনা ফুডব্লগারসের প্রতিষ্ঠাতা স্বপ্নীল মাহফুজ বাংলানিউজকে বলেন, নগরবাসীর কাছে গ্রামের বাড়িতে শীতের সকালে রস খাওয়া এক অনুপম স্মৃতি। এই স্মৃতি সবাইকে তাড়িত করে সবসময়। শহরে সেসব আনন্দ উদযাপনের সুযোগ নেই। সেই নস্টালজিক সময়কে নতুন করে উপভোগের সুযোগ এনে দিল দ্বিতীয়বারের মতো রসমেলার আয়োজন।
তিনি জানান, মেলায় মোট ১৬টি স্টল রয়েছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। আগামীতে আরো বড় পরিসরে রস উৎসবের আয়োজনের কথাও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৯
এমআরএম/এমজেএফ