ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
কবি জীবনানন্দ দাশের জন্ম কবি জীবনানন্দ দাশ

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, রোববার। ০৫ ফাল্গুন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
•    ১৮৫৪ – উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে গঠিত অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাজ্য। এই দেশটি পরে ব্রিটিশ উপনিবেশ অঞ্চল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রদেশ হয়ে যায়।
•    ১৮৭১ - ফরাসি-প্রুসিয়ান যুদ্ধে প্যারিস অবরোধ সমাপ্ত হওয়ার পর বিজয়ী প্রুসিয়ান বাহিনী প্যারিসে প্যারেড করে।
•    ১৯৩৩ - যুক্তরাষ্ট্রের নিউজউইক ম্যাগাজিন প্রথম প্রকাশিত।
•    ১৯৪৯ –ইসরায়েলের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন চেইম ওয়েজমেন।
•    ১৯৭৯ - চীন-ভিয়েতনাম যুদ্ধ শুরু হয়।
•    ২০০৮ – সার্বিয়া থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে কসোভো।
জন্ম
•    ১২০১ - নাসিরউদ্দিন আল-তুসি, পার্সিয়ান জ্যোতির্বিজ্ঞানী, জীববিজ্ঞানী ও ধর্মতাত্ত্বিক।
•    ১৬৫৩ - আর্কে‌ঞ্জেলো কোরেল্লি, ইতালিয়ান ভায়োলিনবাদক ও সুরকার।
•    ১৭৫৪ - নিকোলাস বডিন, ফরাসি কার্টো‌গ্রাফার ও অভিযাত্রী।
•    ১৮৯০ - রোনাল্ড ফিশার, বিখ্যাত পরিসংখ্যানবিদ।
•    ১৮৯৯ - জীবনানন্দ দাশ, কবি ও শিক্ষাবিদ।

বরিশালে তার জন্ম। তার বাবা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন স্কুলশিক্ষক ও সমাজসেবক। মাতা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন একজন কবি। জীবনানন্দ কলকাতা সিটি কলেজে ১৯২২ সালে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা শুরু করেন। ১৯২৯ সালে তিনি সদ্য প্রতিষ্ঠিত বাগেরহাট প্রফুল্লচন্দ্র কলেজে যোগ দেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের কিছু আগে তিনি সপরিবারে কলকাতা চলে যান। তিনি ছিলেন বাংলা কাব্যান্দোলনে রবীন্দ্রবিরোধী তিরিশের কবিতা নামে খ্যাত কাব্যধারার অন্যতম কবি। পাশ্চাত্যের মডার্নিজম ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বঙ্গীয় সমাজের বিদগ্ধ মধ্যবিত্তের মনন ও চৈতন্যের সমন্বয় ঘটে ওই কাব্যান্দোলনে।

মূলত কবি হলেও তিনি অসংখ্য ছোটগল্প, কয়েকটি উপন্যাস ও প্রবন্ধগ্রন্থ রচনা করেন। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝরাপালক প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে। তার বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলো হচ্ছে- ধূসর পাণ্ডুলিপি (১৯৩৬), বনলতা সেন (১৯৪২), মহাপৃথিবী (১৯৪৪), সাতটি তারার তিমির (১৯৪৮), রূপসী বাংলা (রচনাকাল ১৯৩৪, প্রকাশকাল ১৯৫৭), বেলা অবেলা কালবেলা (১৯৬১)। এছাড়াও বহু অগ্রন্থিত কবিতা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। জীবনানন্দ ছিলেন একজন কালসচেতন ও ইতিহাসচেতন কবি। ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর কলকাতায় তার মৃত্যু হয়।

•    ১৯১৭ - আবদেল রহমান বাদাউয়ি, মিশরীয় দার্শনিক ও কবি।
•    ১৯৬৩ - মাইকেল জর্ডান, মার্কিন বাস্কেটবল খেলোয়াড় ও অভিনেতা।
•    ১৯৮৭ - অসীম ত্রিবেদী, ভারতীয় কার্টুনিস্ট।
•    ১৯৩৬ - মাসুদ করিম,বাংলাদেশি গীতিকার।
মৃত্যু
•    ৩৬৪ - জোভিয়ান, রোমান সম্রাট।
•    ১৩৭১ - ইভান আলেক্সান্ডার, বুলগেরিয়ার সম্রাট।
•    ১৬০০ - জর্দানো ব্রুনো, ইতালিয়ান দার্শনিক, ধর্মযাজক, বিশ্বতত্ত্ব বিশারদ এবং ওকাল্টিস্ট। মহাবিশ্ব সম্পূর্ণ সুষম এবং অসীম নয়, এ ধারণার প্রাথমিক প্রস্তাবকদের মধ্যে তিনি একজন। প্রচলিত ধর্মের বিরোধিতার অপরাধে তাকে পুড়িয়ে মারা হয়।  
•    ১৬৫৯ - আবেল সের্ভি‌য়ান, ফরাসি রাজনীতিবিদ, অর্থমন্ত্রী।
•    ১৮৫৬ - হেনরিক হাইন, জার্মান সাংবাদিক ও কবি।
•    ১৯৮৮ - কারপুরি ঠাকুর, ভারতীয় রাজনীতিবিদ, বিহারের ১১তম মুখ্যমন্ত্রী।
•    ২০০৮- জনপ্রিয় চিত্রনায়ক মান্না।

১৯৬৪ সালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মান্নার প্রকৃত নাম এস এম আসলাম তালুকদার। তিনি ৩৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত ‘আম্মাজান’ চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। ২০০৬ সালে সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন মান্না। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকাবস্থায় ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০০১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
টিএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।