তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
১৩ মার্চ ২০১৯, বুধবার। ২৯ ফাল্গুন, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
৪৫- জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের সূচনা।
১৭৮১- স্যার উইলিয়াম হার্শেল ইউরেনাস গ্রহ অবিষ্কার করেন।
১৮৯৬- নেদারল্যান্ডসে প্রথম চলচ্চিত প্রদর্শন।
১৯৫৪- ইন্দোচীনে দিয়েন বিয়েন ফু’র যুদ্ধ শুরু।
১৯৭১- শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের নেতৃত্বে স্বাধীনতা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষুব্ধ শিল্পী সমাজের প্রথম মিছিল।
জন্ম
১৭৩৩- ব্রিটিশ রসায়নবিদ জোসেফ প্রিস্টলি।
১৮৬১- বাঙালি সাহিত্যিক ও সম্পাদক জলধর সেন। সাহিত্যকর্মের জন্য ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘রায় বাহাদুর’ উপাধি দেয়।
১৮৯৪- খ্যাতনামা বাঙালি পদার্থবিদ সত্যেন্দ্রনাথ বসু (সত্যেন বোস)।
১৯০০- গ্রিসের নোবেলজয়ী কবি গেওর্গে সেফেরিস।
১৯১৪- বাঙালি ঔপন্যাসিক ও সাংবাদিক অদ্বৈত মল্লবর্মণ।
তিনি তৎকালীন কুমিল্লা অধীনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহকুমার গোকর্ণঘাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ শিরোনামের একটি উপন্যাস লিখে তিনি বাংলা সাহিত্যের চিরস্মরণীয় প্রতিভা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। এ উপন্যাসটি সর্বপ্রথম ‘মাসিক মোহাম্মদী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এছাড়া তিনি বহু শিশুপাঠ্য কবিতাও রচনা করেছেন। মাত্র ৩৭ বছর বয়সে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার নিজ বাড়িতে অদ্বৈত মল্লবর্মণ মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৩০- বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞান লেখক, বিজ্ঞানকর্মী আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিন।
তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তাও ছিলেন। বাংলাদেশের বিজ্ঞান লেখকদের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়, যিনি ইউনেসকো কলিঙ্গ পুরস্কার লাভ করেন।
মৃত্যু
১৭৩৯- বাংলার সবেদার সুজাউদ্দিন খান।
১৮৮১- রাশিয়ার জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার।
১৮৯৪- জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী হার্টজ।
১৯০১- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৩তম রাষ্ট্রপতি বেঞ্জামিন হ্যারিসন।
১৯০৬- মার্কিন নারী ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম নেত্রী সুসান ব্রাউলেন অ্যান্টনি।
১৯৬৭- ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ও জামাইকান সিনেটর ফ্রাঙ্ক ওরেল।
১৯৭৬- পল্লীকবি জসীমউদ্দীন।
১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুরের তাম্বুলখানা গ্রামে তার জন্ম। কর্মজীবন শুরু হয় পল্লীসাহিত্যের সংগ্রাহক হিসেবে। ১৯৩৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে লেকচারার পদে যোগ দেন। জসীমউদ্দীনের কবিত্ব শক্তির প্রকাশ ঘটে ছাত্রজীবনেই। তখন থেকেই তিনি তার কবিতায় পল্লীপ্রকৃতি ও পল্লীজীবনের সহজ-সুন্দর রূপটি তুলে ধরেন। পল্লীর মাটি ও মানুষের সঙ্গে তার অস্তিত্ব যেনো মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছিল।
কলেজজীবনে ‘কবর’ কবিতা রচনা করে তিনি বিপুল খ্যাতি অর্জন করেন। সাহিত্যের নানা শাখায় কাজ করেছেন তিনি। যেমন গাথাকাব্য, খণ্ডকাব্য, নাটক, স্মৃতিকথা, শিশুসাহিত্য, গল্প-উপন্যাস ইত্যাদি। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ রাখালী প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে। তার প্রধান গ্রন্থগুলো হলো- নকশী কাঁথার মাঠ (১৯২৯), সোজন বাদিয়ার ঘাট (১৯৩৩), রঙিলা নায়ের মাঝি (১৯৩৫), মাটির কান্না (১৯৫১), সুচয়নী (১৯৬১), পদ্মা নদীর দেশে (১৯৬৯), ভয়াবহ সেই দিনগুলোতে (১৯৭২), পদ্মাপার (১৯৫০), বেদের মেয়ে (১৯৫১), পল্লীবধূ (১৯৫৬), গ্রামের মায়া (১৯৫৯), ঠাকুর বাড়ির আঙিনায় (১৯৬১), জার্মানির শহরে বন্দরে (১৯৭৫), স্মরণের সরণী বাহি (১৯৭৮), বাঙালির হাসির গল্প, ডালিম কুমার ইত্যাদি।
জসীমউদ্দীন বাংলা সাহিত্যের বিশেষ সম্মানিত ও বহু পুরস্কারে পুরস্কৃত কবি। তিনি প্রেসিডেন্টের প্রাইড অব পারফরমেন্স পুরস্কার (১৯৫৮), রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার ডিগ্রি (১৯৬৯), বাংলাদেশ সরকারের একুশে পদক (১৯৭৬) ও স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারে (মরণোত্তর, ১৯৭৮) ভূষিত হন। তিনি ১৯৭৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছিলেন, কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৭৬ সালের ১৩ মার্চ তিনি ঢাকায় মারা যান।
১৯৮৫- বাংলাদেশি কবি দিনেশ দাশ।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৯
টিএ/এএ