তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
২১ মার্চ ২০১৯, বৃহস্পতিবার। ০৭ চৈত্র, ১৪২৫ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১১৮৮- জাপান সম্রাট আংকুটুর সিংহাসনে আরোহণ করেন।
১৪১৩- পঞ্চম হেনরি ইংল্যান্ডের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।
১৭৯১- ব্রিটিশ সৈন্যরা টিপু সুলতানের কাছ থেকে বেঙ্গালুরু দখল করেন।
১৮০১- আলেকজান্দ্রিয়ার যুদ্ধে জেনারেল এবারক্রম্বির নেতৃত্বে ব্রিটিশবাহিনী ফরাসিদের পরাজিত করে।
১৮৩৬- কলকাতায় প্রথম গ্রন্থাগার স্থাপিত হয়।
১৯১৭- বিপ্লবীবাহিনীর হাতে রাশিয়ার জার গ্রেফতার হন।
১৯৬৫- মার্টিন লুথার কিং নাগরিক অধিকার মার্চ শুরু করেন।
১৯৭৭- পার্লামেন্ট নির্বাচনে নিজ আসনে পরাজিত হওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পদত্যাগ।
১৯৮৫- বাংলাদেশে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯০- দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে নামিবিয়া স্বাধীনতা লাভ করে।
২০০৬- টুইটার প্রতিষ্ঠিত হয়।
জন্ম
১৬০৯- পোল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় কাজিমিয়ের্জ।
১৬৮৫- জার্মান সুরকার জোহান সেবাস্টিয়ান বাখ।
১৭৬৮- প্রখ্যাত ফরাসি গণিতবিদ জোসেফ ফুরিয়ে।
১৮৮৪- মার্কিন গণিতবিদ জর্জ ডেভিড বার্কফ।
১৮৮৭- ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নাথ রায়।
১৯১৬- ভারতীয় সানাই বাদক ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান।
ভারতের উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সংগীত জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম বিসমিল্লাহ খান। অমর শিল্পী ভারতের উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সংগীত জগতে ওস্তাদ উপাধিতে ভূষিত হন। তিনি অল্পসংখ্যক গুণীর মধ্যে একজন, যিনি ভারতের চারটি সর্বোচ্চ বেসামরিক পদকে সম্মানিত হয়েছেন।
আফগানিস্তান, ইউরোপ, ইরান, ইরাক, কানাডা, পশ্চিম আফ্রিকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, জাপান, হংকংসহ পৃথিবীর প্রায় সব রাজধানী শহরেই ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান তার সংগীত প্রভা ছড়িয়েছেন।
১৯৫৫- মার্কিন গায়ক, গীতিকার বব বেন্নেট।
১৯৬১- প্রসিদ্ধ জার্মান ফুটবল খেলোয়াড় লোথার ম্যাথেয়াস।
১৯৭৮- ভারতীয় অভিনেত্রী রানী মুখার্জী।
মৃত্যু
১৬৭৬- ফরাসি ইতিহাসবিদ হেনরি সভ্যাল।
২০০৩- অধ্যাপক, গবেষক ও পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির ভূতপূর্ব সভাপতি অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯১৫ সালের ৩ জুন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁ মহকুমায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। নয় খণ্ডে প্রকাশিত ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত’ তার একটি হিমালয়-প্রতিম কীর্তি এবং এ গ্রন্থটির জন্য তিনি সমাজে সর্বস্তরে বিশেষ শ্রদ্ধার আসন অধিকার করে আছেন। তার অন্যান্য গ্রন্ত্রের মধ্যে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ ও বাংলা সাহিত্য, বাংলা সাহিত্যে বিদ্যাসাগর, সাহিত্য জিজ্ঞাসায় রবীন্দ্রনাথ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তিনি এশিয়াটিক সোসাইটির বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় গবেষক ছিলেন। ১৯৮১ সালে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক বুদ্ধমহাভাব মহাসম্মেলনে যোগ দেন এবং ১৯৯৬ সালে অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে ভাষণ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
টিএ/এএ