তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
২৩ এপ্রিল ২০১৯, মঙ্গলবার। ১০ বৈশাখ, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৬৬১- ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে দ্বিতীয় চার্লস ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।
১৮২৭- আইরিশ গণিতজ্ঞ ও পদার্থবিদ উইলিয়াম রোয়ান হ্যামিল্টন আলোকরশ্মির তত্ত্ব দেন।
১৯৬৮- নিউইয়র্ক শহরের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিয়েতনাম যুদ্ধ বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের এক পর্যায়ে ছাত্ররা প্রশাসনিক ভবনগুলো দখল করে নেয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে বন্ধ করে দেয়।
জন্ম
১৭৯১- যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চদশ প্রেসিডেন্ট জেমস বিউকানান।
১৮৫৮- বিখ্যাত জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ম্যাক্স প্লাঙ্ক।
১৯৪১- মার্কিন কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও বিশ্বের প্রথম ই-মেইল প্রবর্তক রে টমলিনসন।
মৃত্যু
১৬১৬- কিংবদন্তি সাহিত্যিক ও ইংরেজ নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়ার।
তার ব্যাপ্টিজমের তারিখও ২৩ এপ্রিল (১৫৫৪), তবে তার সঠিক জন্ম তারিখ জানা যায়নি। বিশ্ব নাটক ও ট্র্যাজেডির ধারণা বদলে দেন তিনি। তাকে ইংরেজি ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক এবং বিশ্বের একজন অগ্রণী নাট্যকার বলা হয়। তাকে ইংল্যান্ডের জাতীয় কবি এবং ‘বার্ড অব অ্যাভন (অ্যাভনের চারণকবি) নামেও অভিহিত করা হয়।
তার যে রচনাগুলো পাওয়া গেছে, তার মধ্যে রয়েছে ৩৮টি নাটক, ১৫৪টি সনেট, দু’টি দীর্ঘ আখ্যানকবিতা এবং আরও কয়েকটি কবিতা। কয়েকটি লেখা শেক্সপিয়ার অন্যান্য লেখকদের সঙ্গে যৌথভাবেও লিখেছিলেন। তার নাটক প্রতিটি প্রধান জীবিত ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং অপর যেকোনো নাট্যকারের রচনার তুলনায় অধিকবার মঞ্চস্থ হয়েছে।
১৯৯২- বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক ভারতীয় নির্মাতা সত্যজিৎ রায়।
তিনি জন্মেছিলেন ১৯২১ সালের ২ মে। চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে তিনি ছিলেন বহুমুখী। তার কাজের পরিমাণ বিপুল। তিনি ৩৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী (১৯৫৫) ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করে। এর মধ্যে অন্যতম ১৯৫৬ কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাওয়া ‘শ্রেষ্ঠ মানব দলিল’ পুরস্কার। ‘পথের পাঁচালী’, ‘অপরাজিত’(১৯৫৬) ও ‘অপুর সংসার’(১৯৫৯)- এই তিনটি একত্রে অপু ত্রয়ী নামে পরিচিত এবং এই চলচ্চিত্র সত্যজিতের জীবনের শ্রেষ্ঠ কর্ম হিসেবে স্বীকৃত।
চলচ্চিত্র নির্মাণের বাইরে তিনি ছিলেন একাধারে কল্পকাহিনী লেখক, প্রকাশক, চিত্রকর, গ্রাফিক নকশাবিদ ও চলচ্চিত্র সমালোচক। বর্ণময় কর্মজীবনে তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। যার মধ্যে বিখ্যাত ১৯৯২ সালে পাওয়া একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার (অস্কার)। এছাড়াও ৩২টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
টিএ/এএ