ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

ভাষাবিজ্ঞানী হুমায়ুন আজাদের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৯
ভাষাবিজ্ঞানী হুমায়ুন আজাদের প্রয়াণ

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

১১ আগস্ট ২০১৯, রোববার। ২৭ শ্রাবণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। ০৯ জিলহজ ১৪৪০ হিজরি। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
•    ১৮১০- পর্তুগালের আজোর দ্বীপপুঞ্জে ভয়াবহ ভূমিকম্পে সাও মিগুয়েল দ্বীপটি তলিয়ে যায়।
•    ১৮৮৪- টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকডোনেল।
•    ১৯০৮- ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি কার্যকর হয়।
•    ১৯০৯- রেডিওর বিপদবার্তা বা এসওএসের ব্যবহার শুরু হয়।
•    ১৯১৪- জন রে অ্যানিমেশন পেটেন্ট করেন।
•    ১৯২২- বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ধুমকেতু পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
•    ১৯২৯- ইরাক ও পারস্য শান্তিচুক্তিতে সই করে।
•    ১৯২৯- রাশিয়া ও চীনের সীমান্তে যুদ্ধ শুরু হয়।
•    ১৯৫২- মানসিক অসুস্থতার জন্য জর্দানের বাদশাহ তালাল সিংহাসনচ্যুত হন।
•    ১৯৮৬- এশিয়ার জনসংখ্যা ৩০০ কোটি পূর্ণ হয়।

জন্ম
১৭৩৭- ইংরেজ ভাস্কর জোসেফ নোলেকেনস।
১৮৫৮- নোবেলজয়ী ওলন্দাজ চিকিৎসক ক্রিস্টিয়ান আইকমান।
১৯০৮- রবীন্দ্র বিশারদ পুলিন বিহারী সেন।
১৯১১- সাংবাদিক প্রেম ভাটিয়া।
১৯২৯- খ্যাতনামা সংগীতশিল্পী ও সুরকার মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়।
১৯৭০- ইতালীয় ফুটবলার জিয়ানলুকা পেসোত্তো।
১৯৩৭- বাংলাদেশের প্রখ্যাত ব্যারিস্টার, শিক্ষক, মানবাধিকারকর্মী সালমা সোবহান।

মৃত্যু
১৯৫৫- বাঙালি সাহিত্যিক অমলেন্দু দাশগুপ্ত।
১৯৯৫- মার্কিন গণিতবিদ এবং যুক্তিবিদ আলোন্জো চার্চ।
১৯৭২- নোবেলজয়ী আফ্রিকান-মার্কিন অণুজীব বিজ্ঞানী ম্যাক্স থিলাব।
২০০৪- অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, সমালোচক, গবেষক, ভাষাবিজ্ঞানী, কিশোর সাহিত্যিক এবং রাজনীতিক ভাষ্যকার।

তিনি বাংলাদেশের অন্যতম প্রথাবিরোধী এবং বহুমাত্রিক লেখক। হুমায়ুন আজাদের ১০টি কাব্যগ্রন্থ, ১৩টি উপন্যাস, ২২টি সমালোচনা গ্রন্থ, ৮টি কিশোরসাহিত্য, ৭টি ভাষাবিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। তিনি ১৯৪৭ সালে মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে তার নানাবাড়ি কামাড়গাঁওয়ে জন্ম নেন। তার জন্ম নাম ছিলো হুমায়ুন কবীর। ১৯৭৬ সালে তিনি এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৮৬ সালে তিনি বাংলা বিভাগে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। ২০০৪ সালের ১১ আগস্ট জার্মানিতে অবস্থানকালে আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করেন হুমায়ুন আজাদ।

২০১২- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা শাফাত জামিল বীর বিক্রম।

বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৯
টিএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।