ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

হুমায়ুন ফরিদীর প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
হুমায়ুন ফরিদীর প্রয়াণ

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার। ৩০ মাঘ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
•  ১৭৩৯- কারনালের যুদ্ধে ইরানি শাসক নাদির শাহর বাহিনী মুঘল সম্রাট মুহাম্মদ শাহর বাহিনীকে পরাজিত করে।
•    ১৮৮০- টমাস আলভা এডিসন ‘এডিসন ইফেক্ট’ পর্যবেক্ষণ করেন।
•    ১৯৩১- ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে নয়াদিল্লিতে স্থানান্তর সম্পন্ন হয়।
•    ১৯৪৫- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত বাহিনীর কাছে নাৎসি জার্মানি ও হাঙ্গেরি বাহিনীর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বুদাপেস্ট অবরোধের সমাপ্তি।
•    ১৯৫৫- ইসরায়েল সাতটি ডেড সি স্ক্রলের মধ্যে চারটি লাভ করে।
•    ১৯৮২- গুয়েতেমালায় রিও নিগ্রো গণহত্যা সংঘটিত।

জন্ম
•    ১৫৯৯- পোপ সপ্তম আলেক্সান্ডার।
•    ১৮৭৯- ভারতীয় বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী সরোজিনী নাইডু।
•    ১৮৯১- মার্কিন চিত্রশিল্পী গ্রান্ট উড।
•    ১৮৯২- মার্কিন আইনজীবী, বিচারক ও রাজনীতিবিদ, যুক্তরাষ্ট্রের ৫৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল রবার্ট এইচ জ্যাকসন।
•    ১৯১৩- সৌদি আরবের বাদশাহ খালিদ বিন আবদুল আজিজ।
•    ১৯২৯- প্রখ্যাত গীতিকার, সাহিত্যিক ও ভাষা সৈনিক গাজীউল হক।

মৃত্যু
•    ৮৫৮- স্কটিশ রাজা কেনেথ ম্যাকআলপিন।
•    ১১৩০- পোপ দ্বিতীয় হনোরিয়াস।  
•    ১৫৮৫- স্প্যানিশ যাজক ও পণ্ডিত অলফনসো সালমেরন।
•    ১৭২৭- ব্রিটিশ ভাষাবিদ ও পণ্ডিত উইলিয়াম উটন।
•    ১৯৫০- ইতালীয় লেখক রাফায়েল সাবাতিনি।
•    ১৯৯৬- মার্কিন অভিনেতা মার্টি‌ন বেলসাম।
•    ২০১২- প্রখ্যাত অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী।

১৯৫২ সালের ২৯ মে ঢাকার নারিন্দায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত নাট্য উৎসবের তিনি অন্যতম সংগঠক ছিলেন। এ উৎসবের মাধ্যমেই তিনি নাট্যাঙ্গনে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রাবস্থাতেই তিনি ঢাকা থিয়েটারের সদস্যপদ লাভ করেন। ১৯৯০-এর দশকে হুমায়ুন ফরিদী চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। সেখানেও তিনি বিপুল জনপ্রিয়তা পান। বলা হয়, শুটিং চলাকালে অভিনেতার তুলনায় দর্শকরা হুমায়ুন ফরিদীর দিকেই আকর্ষিত হতো বেশি। বাংলাদেশের নাট্য ও সিনেমা জগতে তিনি অসাধারণ ও অবিসংবাদিত চরিত্রে অভিনয়ের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন।

২০০৪ সালে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর নাট্যাঙ্গনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাকে সম্মাননা দেয়। ২০১২ সালের এ দিনে ঢাকায় এ অভিনেতার মৃত্যু হয়। পরে ২০১৮ সালে তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।

•    ২০১৫- ভারতীয় চিকিৎসক ও লেখক কেশব রেড্ডি।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
টিএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।