পরমাণু শক্তি চালিত এই পাঁচ সাবমেরিনের দুটির মালিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাকি তিনটি রাশিয়ার।
চলুন জেনে নেওয়া যাক সাবমেরিনগুলো সম্পর্কে-
ওহিও-শ্রেণির ডুবোজাহাজ
আমেরিকার তৈরি ওহিও-শ্রেণির ডুবোজাহাজে রয়েছে ২৪টি ট্রাইডেন্ট-২ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।
মে মাসে দেয়া এক তথ্যে বলা হয়েছে, এরকম নয়টি ডুবোজাহাজ মোতায়েন রয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরে আর পাঁচটি আটলান্টিক মহাসাগরে মিশন সম্পন্ন করছে।
কলাম্বিয়া-শ্রেণির ডুবোজাহাজ
বুড়ো হয়ে যাওয়া ওহিও শ্রেণির ডুবোজাহাজের স্থান করে নেয়ার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা হয় কলাম্বিয়া-শ্রেণির ডুবোজাহাজ। কলাম্বিয়ার চেয়ে আকারে একটু বড় এ শ্রেণির ডুবোজাহাজ রয়েছে ১৬টি ট্রাইডেন্ট ২ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। আকারে বড় হলেও কলাম্বিয়া-শ্রেণির ডুবোজাহাজের শব্দ অনেক কম।
রাশিয়ার প্রকল্প ৯৫৫
রুশ নৌবাহিনীর প্রকল্প ৯৫৫ বোরেই-শ্রেণির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ডুবোজাহাজ এ তালিকার তিন নম্বরে রয়েছে। এ শ্রেণির ডুবোজাহাজে রয়েছে ১৬টি আরএসএম-৫৬ বুলভা ক্ষেপণাস্ত্র। এ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৮০০০ কিলোমিটার বা ৪৯৭০ মাইল ।
আরএসএম-৫৬ বুলভা ক্ষেপণাস্ত্রের পরমাণু বোমায় শত্রুর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দেয়ার ব্যবস্থা আছে।
দেলফিন-শ্রেণির ডুবোজাহাজ
রুশ প্রকল্প ৬৬৭বিডিআরএম দেলফিন-শ্রেণির ডুবোজাহাজে রয়েছে ১৬ আর-২৯আরএমইউ সিনেভা তরল-জ্বালানি চালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। ডুবোজাহাজ থেকে চক্রাকারে সব দিকেই এ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া যায়। এ ছাড়া, ঘণ্টায় ছয় বা সাত নট গতিতে চলার সময় সাগরের ৫৫ মিটার গভীর থেকে ছুঁড়তে পারে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।
ইয়াসেন-শ্রেণির ডুবোজাহাজ
রুশ নৌবাহিনীর প্রকল্প ৮৮৫এম ইয়াসেন-শ্রেণির গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ডুবোজাহাজকে আমেরিকার মূল ভূমির জন্য হুমকি বলা হয়। এতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহন করা হয় না। এতে রয়েছে পরমাণু বা সাধারণ উভয় ধরণের ৩২টি বোমা বহনের সক্ষমতা সম্পন্ন আড়াই হাজার কিলোমিটার পাল্লার থ্রিএম-১৪কে ক্যালিবার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। দ্রুতগামী খুবই কম শব্দ সৃষ্টিকারী এ ডুবোজাহাজ অনায়াসে মার্কিন পূর্ব উপকুলের দুই হাজার কিলোমিটারের মধ্যে ঢুকে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরের লক্ষবস্তুতে হামলা করতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, মার্চ ০২. ২০২০
নিউজ ডেস্ক