শীতের পরেই বসন্তের আগমন বার্তা বয়ে আনে এই শিমুল ফুল।
ফুলটি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা খন্দকার কামরুল ইসলাম বলেন, শিমুল পাতাঝরা বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। গাছের উচ্চতা ১৫ থেকে ২০ মিটার। কাণ্ডের চারপাশে সুবিন্যস্ত থাকে শাখা-প্রশাখা, তবে সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। বৃহদাকার শিমুল গাছে অধিমূল জন্মে। গাছের গায়ে কাঁটা থাকে যার গোড়ার অংশ বেশ পুরু। তবে বয়স্ক গাছে তেমন কাঁটা থাকে না। শীতের শেষে পাতা ঝরে যায়, ফাল্গুনে ফুল ফোটে। ফল মোচাকৃতি। চৈত্র বা বৈশাখ মাসে ফল ফেটে শিমুল তুলা বেরিয়ে আসে। তিনি বলেন, শীতের শেষে এই গাছের পাতা ঝরে যায়। ফাল্গুন মাসে ফুলের কুঁড়ি আসে এবং চৈত্র মাসে বড় এবং উজ্জ্বল রঙের লাল ফুল ফোটে। এরপর গাছের পাতা গজানো শুরু হয়। ফুলের পাপড়ি ১০ থেকে ১২ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। এর পুংকেশের অনেক থাকে। এর স্ত্রীকেশর পুংকেশর অপেক্ষা লম্বায় বড় হয়।
শিমুল ফুল নিয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতেমা ইভা বলেন, পথের ধারে শিমুল ফুল পথচারীদের আকৃষ্ট করে। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলে দেখা যায় ফুলটি। তবে বাংলার মাঠে-ঘাটে রাস্তার পাশে অনাদর অবহেলায় বেড়ে উঠে শিমুল গাছ। কিন্তু সে গাছের সবুজ পাতা, মুকুল, ফুল আর কোকিলের ডাক মনে করিয়ে দেয় বসন্তের বার্তা। আমসহ, লিচু লেবু ও বিভিন্ন গাছের পাতা ও মুকুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে আবার এলো ফাগুন, এলো বসন্ত।
সত্যিই তাই, বসন্তে শিমুল গাছে রক্ত কবরী লাল রঙের ফুল ফোটে, দৃষ্টি কেড়ে নেই সবার মন। কিছুদিন পরে রক্তলাল থেকে সাদা ধূসর হয়ে তৈরি হয় তুলা। সেই তুলা বাতাসে ভেসে ভেসে দোলা দেয় বসন্তের গায় ও শিমুলের বনে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২০
এইচএমএস/এএটি