ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

বরেণ্য সংগীতশিল্পী নীলুফার ইয়াসমিনের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০১ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
বরেণ্য সংগীতশিল্পী নীলুফার ইয়াসমিনের প্রয়াণ

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানব সভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এইদিন’।

১০ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার। ২৪ ফাল্গুন ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এইদিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৫৮৫- সম্রাট আকবরের ফরমান জারি: আমির ফতেহউল্লাহ সিরাজী উদ্ভাবিত বাংলা ফসলি সন প্রবর্তিত হয়। এই সনই বর্তমানে প্রচলিত বাংলা সন।
১৬২৪- ইংল্যান্ড ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৮০১- প্রথম ব্রিটিশ লোকগণনা শুরু হয়।
১৮৭৬- আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল তার নব আবিষ্কৃত টেলিফোনের মাধ্যমে প্রথম বার্তা পাঠান।
১৯০৭- ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সাপ্তাহিক ‘স্বরাজ’ সম্পাদনা শুরু করেন।
১৯৪২- জাপানিরা রেঙ্গুন দখল করে নেয়।
১৯৪৫- যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারফোর্স জাপানে ফায়ার বোমা নিক্ষেপ করে। এতে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়, যার বেশির ভাগই বেসামরিক।
১৯৫৬- বৈমানিক পিটার টুইস প্রথম মানব, যিনি ঘণ্টায় এক হাজার মাইল বেগে প্লেন চালনা করেন।
১৯৭১- ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারতের কংগ্রেস পার্টি সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক জয় লাভ করে।
২০০০- দক্ষিণ আমেরিকার আন্দাজ পর্বতমালার পূর্বাঞ্চলীয় এলাকার এক মরুভূমিতে পৃথিবীর বৃহত্তম ডাইনোসোরের কঙ্কাল আবিষ্কার।

জন্ম
১৭৭২- জার্মান কবি ফ্রেড্রিশ ফন।
১৮১০- আইরিশ কবি স্যামুয়েল ফার্গুসন।
১৮৭৩- জার্মান ঔপন্যাসিক ইয়াকপ ওয়াসায়মান।

মৃত্যু
১৮১১- বিজ্ঞানী হেনরী ক্যাভেল ভিলন।
১৮৭২- ইতালীয় জাতীয়তাবাদী নেতা মাৎসিনি।
১৯৪০- রুশ নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক মিখাইল বুলগাকভ।
১৯৬৬- আইরিশ ছোট গল্পকার ফ্রাঙ্ক ও’কনার।
১৯৮০- কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ।
২০০৩- সংগীতশিল্পী নীলুফার ইয়াসমিন।

বাংলাদেশের বরেণ্য সংগীতশিল্পী নীলুফার ইয়াসমিন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত। সময়ের গড্ডালিকা প্রবাহে সৃজনশীল বাংলা গান যখন ভেসে যাচ্ছিল, তখন গুটি কয়েকজন শিল্পী ভালোবাসা দিয়ে উজ্জীবিত করেছেন আমাদের নিজস্ব গীতি। নিঃসন্দেহে নীলুফার ইয়াসমীন তাদের মধ্যে অন্যতম। একনিষ্ঠ শিল্পী বলতে যা বোঝায় নীলুফার ছিলেন তা-ই।

১৯৪৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সংগীতসমৃদ্ধ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন নীলুফার ইয়াসমীন। তিনি ১৯৯৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দিয়েছিলেন। দুরারোগ্য ক্যানসার ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এরপর ২০০৪ সালে তাকে সংগীতে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।