ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

তামিম ইকবালের জন্ম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৮ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২০
তামিম ইকবালের জন্ম

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানব সভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এইদিন’।

২০ মার্চ ২০২০, শুক্রবার। ০৬ চৈত্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এইদিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৬৮৬– কলকাতার সুতানটি গ্রামে প্রথম ব্রিটিশ পতাকা উত্তোলন করা হয়।
১৭৩৯– নাদির শাহ দিল্লি দখল করেন।
১৮১৪- যুবরাজ উইলিয়াম ফ্রেডরিক নেদারল্যান্ডসের রাজা হন।
১৯৩৫– ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়।

জন্ম
১৪৯৭- আটাওয়ালপা, ইনকা সম্রাট।
১৬১৫– দারাশিকো, মোঘল সম্রাট শাহজাহানের প্রথম পুত্র।
১৮২৮- হেনরিক ইবসেন, একজন নরওয়েজীয় নাট্যকার যিনি আধুনিক বাস্তবতাবাদী নাটকের সূত্রপাত করেছেন।
১৯৮৯- বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।  

তিনি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। একজন বামহাতি মারকুটে ব্যাটসম্যান। তার কৃতিত্ব বাংলাদেশ জাতীয় দলের জন্য অনেকবার সাফল্য এনে দিয়েছে। ব্যাট হাতে বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন, ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন বহুবার। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বাধিক ২০৬ রানের অধিকারী তিনি। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে ১ম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেন। ২০১১ সালে তামিম উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক ম্যাগাজিনের বছরের সেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজন হিসেবে নির্বাচিত হন। গ্রেম সোয়ান ও বীরেন্দ্র শেবাগকে পেছনে ফেলে তামিম এ খেতাব জিতে নেন। তরুণ প্রজন্মের বাংলাদেশিদের কাছে তিনি একজন আইকন।

মৃত্যু
১৯২৬- কাজী ইমদাদুল হক, ব্রিটিশ ভারতের বাঙালি কবি।
২০১৩- জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি।

১৯২৯ সালে কিশোরগঞ্জের ভৈরবপুরে তার জন্ম। ১৯৪৭ সালে ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজে অধ্যয়নকালে সিলেটে গণভোটে কাজ করার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্যে আসেন তিনি। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় ৫২'র ১৯ ফেব্রুয়ারি ছাত্র সমাবেশে জিল্লুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে বৃহত্তর ময়মনিসংহ জেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৬২ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয়দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণ-আন্দোলনে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

জিল্লুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তিনি মুজিবনগর সরকারের পরিচালিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র পরিচালনা এবং জয়বাংলা পত্রিকার প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে ২০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি মন্ত্রী ছিলেন। ২০০৯ সালে জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। ২০১৩ সালের ২০ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।