সেই আপনজনের প্রতি সন্তানের চিরন্তন ভালোবাসার প্রকাশ ঘটে প্রতিদিনই। তারপরও বাবার জন্য বিশেষ একটা দিন, যেদিন সব ধরনের সংকোচ ভুলে মনের কোণে একটু সাহস জমিয়ে একটু শক্ত আর মায়াময় জাদুকরী মানুষটাকে বলা যায়- বাবা, ভীষণ ভালোবাসি তোমাকে!
রোববার (২১ জুন) বিশ্ব বাবা দিবস।
সন্তানের কাছে আদর-শাসন আর বিশ্বস্ততার জায়গা হলো বাবা। বাবার মাধ্যমেই সন্তানের জীবনের শুরু। সন্তান বাবার ঋণ কখনো পরিমাপ করতেও পারে না। উত্তপ্ত সূর্যের তলে সন্তানের জন্য শীতল ছায়া হয়ে থাকেন বাবা। সন্তানের ভালোর জন্য জীবনের প্রায় সবকিছুই নির্দ্বিধায় ত্যাগ করতে হয় বাবাকে।
ধর্মীয়ভাবেও সন্তানের জন্য বাবার গুরুত্ব অপরিসীম। হাদীসে আছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি পিতার সন্তুষ্টিতে এবং আল্লাহর অসন্তুষ্টি পিতার অসন্তুষ্টিতে নিহিত, (তিরমিযি-১৮৯৯) । ’
এছাড়া সনাতন ধর্মমতে, ‘পিতা স্বর্গ, পিতা ধর্ম, পিতাহী পরমং তপঃ, পিতরী প্রিতিমাপন্নে প্রিয়ন্তে সর্বদেবতা’। এর অর্থ হচ্ছে- পিতা স্বর্গ, পিতাই ধর্ম, পিতাই পরম তপস্যা। পিতাকে খুশি করলে সব দেবতা খুশি হন।
একজন বাবা তার সন্তানের মাথার ওপর বটবৃক্ষের ছায়ার মতো, যার স্নেহ অবারিত ধারায় শুধু ঝরতেই থাকে। শিশু সন্তানের কচি হাতটি যখন বাবার হাতটি আঁকড়ে ধরে হাঁটতে থাকে, তখন তাদের এ অটুট সম্পর্ক জানান দেয়। সেই সম্পর্কের বন্ধনেই আদর-শাসনে গড়ে ওঠে পৃথিবীর সবথেকে বড় বন্ধনটি। তাইতো বাবার প্রতি সম্মান জানাতে বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বাবা দিবস।
বাবা দিবসের উদ্ভব মূলত মা দিবসের ধারাবাহিকতা থেকে। ধারণা করা হয়, ১৯১০ সালের ১৯শে জুন প্রথমবারের মতো বাবা দিবসটি পালন করা হয়, যদিও তা আনুষ্ঠানিক ছিল না। ১৯৬৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন সিদ্ধান্ত নেন যে, প্রতিবছর জুনের তৃতীয় রোববার বাবা দিবস হিসেবে পালন করা হবে। সেই থেকে কয়েকশো বছর ধরে পালন করা হলেও বাবা দিবসটি এখনো যেন নতুন। আর এই নতুনত্বেয় গড়ে উঠুক আরও বেশি ভালোবাসা, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৪ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২০
এইচএমএস/এএটি