শুক্রবার (২৬ জুন) করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কোন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়ায় শুরু হয়েছে এই আয়োজন। সীমিত পরিসরে এই প্রদর্শনীকে করোনাকালের ‘নিউ নরমাল’ প্রদর্শনী বলা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে গ্যালারি কায়ার পরিচালক শিল্পী গৌতম চক্রবর্তী জানান, করোনাকালের ‘নিউ নরমাল’ প্রদর্শনী এটা। কোন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী আয়োজন নেই। শিল্পরসিকরা গ্যালারি কায়ার ফেসবুক পেজে গেলে ছবিগুলো দেখতে পাবেন। সেখান থেকে পছন্দ মতো সংগ্রহ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, গ্যালারিতে অল্পকিছু ছবি রাখা হয়েছে। গ্যালারিতে প্রবেশের ক্ষেত্রেও এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করার সুযোগ থাকছে। তবে আমরা অনলাইনে ছবি দেখাকেই বেশি উৎসাহিত করছি।
গ্যালারী ঘুরে দেখা যায়, প্রদর্শনীর ছবিগুলোতে উঠে এসেছে চিরায়ত বাংলার প্রকৃতি। বিশেষ করে এই করোনাকালে সবকিছু লকডাউন হলেও প্রকৃতি যেন বাঁধন খুলে মেলে ধরেছে তার সৌন্দর্য। নেই নগরের যান্ত্রিক ব্যস্ততা, নেই প্রকৃতি জুড়ে দূষণের কালো ছায়া। এতেই প্রকৃতি হয়ে উঠেছে নির্মল, স্নিগ্ধ, সতেজ।
করোনা পরিস্থিতিতে প্রকৃতির সেই সতেজ স্নিগ্ধ রূপই ফুটে উঠেছে শিল্পীদের ক্যানভাসে। আরো আছে আদিগন্ত প্রকৃতি, গ্রামের মেঠো পথ, নদীতে বাঁধা নৌকা, অরণ্য, পাহাড়। যতদূর চোখ যায় সবুজ প্রকৃতির ঝিম ধরা সৌন্দর্য।
আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত চলবে ‘সেলিব্রেটিং নেচার’ প্রদর্শনী। আর প্রকৃতির উদযাপন শীর্ষক এই চিত্র প্রদর্শনীতে সমকালীন ১৯ জন শিল্পীর ১৪০টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে।
প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া শিল্পীরা হলেন, আব্দুল্লাহ আল বশীর, আহমেদ শামুসদ্দোহা, আলপ্তগীন তুষার, আনিসুজ্জামান, আশরাফুল হাসান, আজমীর হোসেন, চন্দ্র শেখর দে, হামিদুজ্জামান খান, জামাল আহমেদ, কামালুদ্দীন, মোহাম্মদ ইকবাল, মং শং শ, রণজিৎ দাস, রুহুল আমিন তারেক, শাহানুর মামুন, শেখ আফজাল হোসেন, সোহাগ পারভেজ, সুমন ওয়াহেদ এবং তরুণ ঘোষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২০
এইচএমএস/এমকেআর