তবে সমতলের তুলনায় আপ্যায়নের টেবিলে বৈচিত্র্যতা থাকে পাহাড়িদের খাবারের মেন্যুতে। কম মশলার এসব রান্না ভোজন রশিকের ষোলআনা পূরণ করবে এতে সন্দেহ নেই।
পাহাড়ের স্থানীয় খাবারের তালিকায় যে নামটি সবার আগে আসে সেটি হচ্ছে বাঁশ। কচি বাঁশ দিয়ে রান্না করা হরেক পদের খাবার যেন পূর্ণতা আনে খাবারে।
বাঁশ সেদ্ধ, বাঁশের ডাল, বাঁশ দিয়ে ছোট মাছ, কিংবা বাঁশ দিয়ে সবজি রান্না যেন অতুলনীয়। শুধু কি রান্না, ব্যাম্বো চিকেনের কথা নিশ্চই সবাই শুনেছেন? মুরগীকে মসলা দিয়ে মিশিয়ে বাঁশের ভেতর রান্না করা এক অন্যরকম আয়োজন।
এবার আসি আরও কিছু রান্নার কথায়, বাধাকপি সেদ্ধ, ঢেকি শাক সেদ্ধ, ফুলকপি সেদ্ধ, মুলা শাক সেদ্ধ, শিমসহ অনেক পদের শাক সেদ্ধ করে রান্না করা হয়। মূলত পরিস্কার শাক গরম পানিতে লবন দিয়ে সেদ্ধ করা হয়।
আর শাক সেদ্ধ পরিপূর্ণতা আনবে ভর্তায়। মরিচ, শুটকি, ধনে পাতা, পেঁয়াজ দিয়ে তৈরি করা ভর্তা শাক সেদ্ধর অনন্য সঙ্গী। এরপরে রয়েছে মাশরুম। ডিম দিয়ে মাশরুম ভাজি, মাশরুম দিয়ে ডাল অন্যতম।
এই অঞ্চলে তরকারিতে শুটকির ব্যবহার থাকবেই। সেটি রান্না হোক কিংবা সেদ্ধ। যেমন পাহাড়ের গোল আলু রান্না, মিক্স সবজি রান্না, হাঙ্গর শুটকি দিয়ে কাঠাল, বেগুন, সিম রান্না অন্যতম।
বর্তমানে খাগড়াছড়িতে গড়ে উঠেছে একাধিক খাবারের দোকান। তার মধ্যে রয়েছে সিস্টেম, খাংময়, ব্যাম্পো সুট, ইজোর। এসব দোকানে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী সব ধরনের খাবারের আয়োজন থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২০
এডি/এমআরএ