ঢাকা: ‘বাংলা বিপ্লবী উপন্যাসের ধারা’ শীর্ষক ওয়েবিনার করেছে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ। আলোচনায় বিভিন্ন অগ্নিযুগে সৃষ্ট সাহিত্য বহুমাত্রিকভাবে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কিভাবে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, তা উঠে আসে।
রোববার (১৯ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিশিষ্ট গবেষক-প্রাবন্ধিক ড. মাসুদ রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাসিক মোহনা সম্পাদক কবি ইস্রাফিল হোসেন। প্রধান আলোচক ছিলেন লন্ডনপ্রবাসী মুক্তিযুদ্ধ ও নজরুল গবেষক ড. তাহা ইয়াসিন।
আলোচনায় বক্তরা বলেন, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে স্বদেশী আন্দোলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। অগ্নিযুগ হিসেবেই যেটি বেশি পরিচিত। এই অধ্যায়কে এড়িয়ে ভারতের স্বাধীনতা অপূর্ণ ও অসম্পন্ন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যুগান্তকারী হিসেবে বিবেচিত স্বদেশী আন্দোলন। পরাধীন দেশে শাসকের বিরুদ্ধে যেকোন ধরণের সাহিত্য সৃষ্টি মানেই বিপ্লবের আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া। এর ফলে লেখককে যে কোন ধরণের মূল্য দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হতো। ফলে অন্য যে কোন সাধারণ সময়ের চেয়ে এ সময়ের সাহিত্য যেমন অতীব গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি এসব সাহিত্যিকরাও জাতির কাছে চির সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হন।
তারা বলেন, অগ্নিযুগে সৃষ্ট সাহিত্য বহুমাত্রিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এসব সাহিত্য বিপ্লবীদের অনুপ্রাণিত করেছে, দেশপ্রেমে অগ্নিস্পৃহা শক্তি যুগিয়েছে, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা অর্জনে অসামান্য ভূমিকা রেখেছে। ফলে এসব সাহিত্য শুধু সৃজনশীলতায় বন্দি নয়, ইতিহাসের উজ্বল স্বাক্ষর হিসেবে সেই সময়ের পুরো ছবিটাও বহন করে।
আলোচনায় আরও অংশ নেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়ার খাতড়া আদিবাসী কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সত্যজিৎ দত্ত, বিশিষ্ট গবেষক ও শিশুসাহিত্যিক ড. জ্যোৎস্নালিপি, বঙ্গবন্ধু গবেষক ও লেখক মাসুদ রানা, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক শারমিন সুলতানা তন্বী, বিভাগের ছাত্র ও বাংলা টেলিভিশনের সংবাদ উপস্থাপক শাকিল আহমাদ রুমী প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ও বহুমাত্রিক লেখক ড. রকিবুল হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২০
এইচএমএস/এমআরএ