ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

কর্নেল তাহের দিবস মঙ্গলবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০২ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২০
কর্নেল তাহের দিবস মঙ্গলবার

ঢাকা: ২১ জুলাই মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহেরের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ দিনটিকে বিভিন্ন দল কর্নেল তাহের দিবস হিসেবেও পালন করে থাকে।

কর্ণেল তাহেরের পুরো নাম আবু তাহের। ১৯৭৬ সালের সামরিক সরকার এ দিন ভোর চারটায় তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে তারই প্রিয় স্বাধীন স্বদেশে।

কর্নেল তাহের ১৯৩৮ সালের ১৪ নভেম্বর আসামের বদরপুরে নানার বাসায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৫ সালে তিনি চট্টগ্রাম ফতেহাবাদ স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। ১৯৫৭ সালে সিলেটের এমসি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক এবং ১৯৫৯ সালে একই কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন। ১৯৬০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন।

১৯৬০ সালে তাহের পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। কর্নেল তাহের ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে কাশ্মীর ও শিয়ালকোট সেক্টরে অংশগ্রহণ করেন। এ যুদ্ধে বীরত্বের জন্য খেতাব প্রাপ্ত হন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে গণহত্যার প্রতিবাদে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনী ত্যাগ করেন।

২৫ জুলাই মেজর জিয়াউদ্দিন, মেজর মঞ্জুর, ক্যাপ্টেন পাটোয়ারি এবং মঞ্জুরের পরিবার সদস্যদের নিয়ে ভারতের সীমান্ত ঘাঁটি দেবীগড় পৌঁছান। এখান থেকে তিনি ২৭ জুলাই দিল্লী পৌঁছান। এরপর আগস্টের প্রথম সপ্তাহে মুজিবনগরে যান। সেনাপ্রধান কর্তৃক নিয়োজিত হয়ে বিভিন্ন সেক্টরের যুদ্ধ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তিনি তার মতামত প্রদান করেন। ১১ নম্বর সেক্টর গঠন করে কর্নেল তাহেরকে সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের অধীনে তিনি অসংখ্য যুদ্ধ পরিচালনা করেন। কর্নেল তাহের মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য বীরউত্তম খেতাবে ভূষিত হন।  

১৯৭১ সালের ১৪ নভেম্বর নিজের জন্মদিনে কামালপুর সম্মুখ যুদ্ধে তিনি আহত হন। বাম পা হাঁটুর উপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। ভারতে চিকিৎসা শেষে ১৯৭২ সালের এপ্রিল মাসে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর তাকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল নিয়োগ করা হয়। ১৯৭২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তিনি সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করেন। এছরের অক্টোবর মাসে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন। বছরের শেষ দিকে কর্নেল তাহের জাসদে যোগ দেন।

১৯৭৫ সালের ২৩ নভেম্বর কর্নেল তাহেরকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক অবস্থায় কারাগারের অভ্যন্তরে তাহেরসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে সামরিক ট্রাইব্যুনালে বিচার হয়। বিচারে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ৭ নভেম্বরের সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানের এই নায়ককে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২০
আরকেআর/এইচএমএস/এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।