ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে।
ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার। ১৭ ভাদ্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১১৭৪- ইতালির পিসা শহরে বিখ্যাত পিসার হেলানো টাওয়ারের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
১৮৫৩- উত্তমাশা অন্তরীণ থেকে পৃথিবীর প্রথম ত্রিকোণ ডাকটিকিট ইস্যু করা হয়।
১৯০৫- ব্রিটিশরাজ বঙ্গভঙ্গের নির্দেশ জারি করে।
১৯১৪- রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় পেট্রোগার্ড।
১৯২৩- জাপানের টোকিও ও ইয়াকোহামায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে দুই লাখ লোক মারা যান।
১৯২৮- আলবেনিয়া রাজ্যে পরিণত হয়।
১৯৩৯- জার্মানির সেনারা পোল্যান্ড আক্রমণ করলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়।
১৯৬৯- সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে কর্নেল গাদ্দাফি লিবিয়ার ক্ষমতা দখল করেন।
১৯৮৫- ১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার।
১৯৯২- জাকার্তায় দশম জোটনিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জন্ম
১৮৫৬- রাশিয়ান অণুজীব বিজ্ঞানী সার্গেই উইনোগার্ডস্কি।
১৮৭৭- নোবেলজয়ী ইংরেজ রসায়নবিদ ফ্র্যান্সিস অ্যাস্টন।
১৮৮৪- সুইডিশ অ্যান্টোমলজিস্ট হেনরী ফোরেল।
১৯১৪- লেখিকা মৈত্রেয়ী দেবী।
১৯১৮- মুক্তিযুদ্ধে অবিসংবাদী ভূমিকা পালনকারী, মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী।
আতাউল গণি ওসমানী ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। সত্তরের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হলে ওসমানী বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত হন। স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালের ২৬ ডিসেম্বর তিনি বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর জেনারেল পদে উন্নীত হন এবং তার এ পদোন্নতি ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর করা হয়। ১৯৭২ সালের ৭ এপ্রিল সেনাবাহিনীতে জেনারেল পদ বিলুপ্ত হওয়ার পর তিনি সামরিক বাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন এবং জাহাজ চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ ও বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
১৯৩৫- গুণী চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার।
তিনি কর্মজীবন শুরু করেন পূর্ব পাকিস্তান চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে। এরপর একে একে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ-মহাপরিচালক, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। জনবিভাগ উন্নয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং এডুকেশনাল পাপেট ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৭২ সালে বিটিভিতে প্রচারিত শিশু প্রতিভা বিকাশের জনপ্রিয় ‘নতুন কুঁড়ির’ রূপকার তিনি।
নিখিল ভারত চারু ও কারুকলা প্রদর্শনীতে গ্রাফিক্স শাখায় শ্রেষ্ঠ পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৪ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য একুশে পদকে ভূষিত হন। টিভি নাটকের জন্য টেনাশিনাস পদক লাভ করেন। এছাড়া চিত্রশিল্প, নাট্য নির্দেশক এবং পাপেট নির্মাণে অবদানের জন্য শিশুকেন্দ্র থেকে বিশেষ সম্মাননা লাভসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন মুস্তাফা মনোয়ার।
১৯৭১- তুর্কি ফুটবলার হাকান শুকুর।
১৯৬৫- গায়ক, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক নচিকেতা চক্রবর্তী।
মৃত্যু
১১৫৯- পোপ চতুর্থ অ্যাড্রেইন
১৬৪৮- ফরাসি ধর্মযাজক, দার্শনিক, গণিতবিদ ও সংগীতজ্ঞ মারাঁ মের্সেন।
১৬৮৭- ইংরেজ দার্শনিক হেনরি মুর।
১৭১৫- ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুই।
১৯৭০- নোবেলজয়ীফরাসি সাহিত্যিক ফ্রাঁসোয়া মরিয়াক।
১৯৮২- মার্কিন গণিতবিদ হার্সেল কুরি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২০
টিএ