ফেনী: ইছামতির দ্বীপ, বাইল্লার চর, চর ওসমান কালের পরিক্রমায় কাব্যিক নাম নিঝুম দ্বীপ। যে নামেই ডাকা হোক না কেন- এখানে পা রাখলেই মনে হবে এ দ্বীপ আসলেই নিঝুম, নিঃশব্দ।
এছাড়া দ্বীপের মধ্যে থাকা আঁকা-বাঁকা ছোট ছোট খালে নৌকা ভ্রমণের আনন্দ অন্যমাত্রা দেয় পর্যটকদের। মনোরম পরিবেশে অবলোকন করতে পারেন বঙ্গোপসাগরের বুকে চোখ জুড়ানো সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তও। দ্বীপের এমন কিছু দৃশ্য পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো: ছবি তুলেছেন আলোকচিত্রী আরশাদুল হক রকি।
চারদিকে সবুজ আর সবুজ। নাগরিক পরিবেশ থেকে চোখকে একটি স্বস্তি দিতে হলে যেতে হবে এ সবুজের কাছাকাছি। বিশাল মাঠজুড়ে ধান ক্ষেতের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে খাল। খালে রাখা আছে মাছ ধরার নৌকা। জোয়ার এলেই তা ছুটবে মেঘনায়।
মাছ ধরার নৌকা থেকে নদীতে ফেলা হচ্ছে জাল।
মেঘনা নদী থেকে ইলিশ শিকার করে ফিরেছেন জেলেরা। এখন চলছে জালের মেরামত।
বনের মধ্যে দিয়ে আঁকা-বাঁকা মেঠোপথ। সে পথ ধরে হেঁটে গেলেই হয়তো দেখা মিলবে হরিণের পাল। ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের বনবিভাগ এখানে উপকূলীয় বনাঞ্চল গড়ে তোলার কাজ শুরু করে। এ অঞ্চলের বনভূমির গাছপালার মধ্যে আছে কেওড়া, গেওয়া, কাঁকড়া, বাইন ইত্যাদি। এছাড়াও প্রায় ২১ প্রজাতির বৃক্ষ ও ৪৩ প্রজাতির লতাগুল্ম আছে এ দ্বীপে।
দ্বীপের সবুজ মাঠ জুড়ে শিশু-কিশোরদের দুরন্তপনা। এখানের অধিকাংশ শিশু কিশোর স্কুলে না গিয়ে নদীতে মাছ ধরতে যায়। আর বাবার সঙ্গে যায় ফসলের মাঠে কাজ করতে।
জাল বুনছেন এক জেলে। প্রতিবার নদী থেকে মাছ শিকার করে ফেরার পর জাল মেরামত করে নিতে হয়।
চারদিকে সুনসান। নেই কোনো কোলাহল । শুধু আছে ঢেউয়ের মন্ত্রমুগ্ধ কলতান দৃষ্টির শেষ সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত জলরাশি। এমন সৌন্দর্য নিঝুম দ্বীপের সৈকতের। গোধূলি লগ্নে সৈকতে দুরন্তপনায় মেতেছে স্থানীয় শিশু-কিশোরের দল।
একপাশে খালের স্বচ্ছ জল মাঝেখানে সবুজ মাঠ অপর পাশে সাগরের জলরাশি।
ফসলের মাঠের পাশে খালের উপর নৌকায় অলস সময় পার করছে জেলে। মেঘনায় তখন ভাটা, জোয়ার এলেই জেলেরা ছুটবেন মাছ ধরতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২০
এসএইচডি/আরআইএস