ঢাকা: ‘ওগো বিদেশিনী তোমার চেরি ফুল দাও, আমার শিউলি নাও... রেডিও বা টেলিভিশনে এন্ড্রু কিশোরের গাওয়া এই গানটির মাধ্যমে অনেকেই লাল টুকটুকে চেরি ফলটির নাম শুনেছেন বা স্বাদ নিয়েছেন। হৃদয় ভালো রাখা বিদেশি এই ফলটির স্বাদই আলাদা।
গৃহবধূরা বিভিন্ন মিষ্টান্ন খাবার ও সালাদে এই ফলটি ব্যবহার করে থাকেন। তাই এই ফলটির কদরও বেশি। চেরি প্রকারভেদে টক-মিষ্টি স্বাদের হয়। একটি গাছে গড়ে প্রায় সাত হাজারের মতো চেরি ধরে থাকে। পুষ্টিগুণের দিক দিয়েও কিন্তু চেরি অনন্য।
ফটোফিচারের ছবিগুলো তোলা হয়েছে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধনিয়া এলাকার মুজিবুর রহমানের দোতলা বাড়ির ছাদের বাগান থেকে। ওই বাড়ির ছাদ বাগানে ইন্ডিয়ান চেরিসহ ১০০ প্রজাতি গাছ রয়েছে।
সম্প্রতি ফটোগুলো তুলেছেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট শোয়েব মিথুন। ছাদ বাগানের একটি গাছ থেকে লাল টুকটুকে চেরি ছিঁড়ছেন মুজিবুর রহমানের পুত্রবধূ উম্মে সাদিয়া। গাছে ঝুলছে সবুজ কাঁচা চেরি। গাছের একটি ডালে ধরেছে কাঁচা-পাকা চেরি। সবুজ পাতার মাঝে উঁকি দিচ্ছে লাল টসটসে দুইটি চেরি। চেরি ফলের ভরে নুয়ে পড়েছে গাছের ডাল। গাছের ডালে পরিপক্ক দুইটি চেরি। গাছ থেকে ছেঁড়ার পর উম্মে সাদিয়ার হাতে পাকা চেরি।
চেরি ফলের যত গুণ: চেরি ফলে পটাশিয়াম থাকে যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। মানবদেহের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায়। হৃদরোগ প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর। এছাড়া মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। চেরিতে থাকা মিলাটোনিন নামক উপাদান দেহের রক্ত চলাচলে সহায়তা করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২০
এএটি