খুলনা: খুলনার ডুমরিয়া উপজেলায় প্রথম রঙ্গিন হলুদ তরমুজের চাষ করে স্বাবলম্বী হতে চলেছেন এখানকার বেশ কয়েকজন কৃষক। এসব কৃষকে ক্ষেতে ছোট-বড় কয়েক শত তরমুজ মাচায় মাচায় বাতাসে দুলছে।
পরিপক্ক হয়ে মাচায় ঝুলে আছে আড়াই থেকে তিন কেজি ওজনের রসালো ফল তরমুজ। এই গরমে তৃষ্ণা মেটাতে তরমুজের কোনো জুড়ি নেই। আছে অনেক স্বাস্থ্যগুণও। এই রসালো ফলটি ১২ মাসই চাষ করা যায়। রং বদলালেও এই তরমুজের স্বাদ কিন্তু বদলায়নি। বরং এ তরমুজ আরও মিষ্টি। আরও সুস্বাদু। নতুন জাতের এই তরমুজ চাষে সফলতা আসায় এলাকার অনেক কৃষক এটি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
বিষ ও ফরমালিনমুক্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ আকারে বড় হলুদ রংয়ের তরমুজগুলো দেখতে আকর্ষণীয়, খেতে সুস্বাদু ও চাহিদা বেশি। দূর থেকে দেখলে মনে হবে কুমড়ো ঝুলছে মাচায়।
কৃষকরা জানান, নতুন জাতের এ তরমুজের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে দামও ভালো। কিন্তু তরমুজ পরিপক্ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চোরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। বিশাল মাছের ঘেরের মাচায় ঝুলে থাকা তরমুজ পাহারা দিয়ে রাখতে হচ্ছে।
নতুন ধরনের এই তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় বেজায় খুশি কৃষকরা। যে কারণে তারা রোদে পুড়ে যত্ন নিচ্ছেন তরমুজের।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
এমআরএম/এএটি