ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

শীত এলেই ব্যস্ততা বাড়ে লেপ-তোষকের কারিগর সোলেমানের

শাকিল আহমেদ, স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২০
শীত এলেই ব্যস্ততা বাড়ে লেপ-তোষকের কারিগর সোলেমানের লেপ সেলাই করছেন দুই কারিগর। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। ঋতু পরিক্রমায় শীত এলে কদর বাড়ে লেপ-তোষকের।

তাইতো এই সময়ে সাধারণ মানুষ ভিড় জমান লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে। পৌষ-মাঘ না এলেও শীতের আগমনী বার্তায় বইতে শুরু করেছে হিমেল হাওয়া। ভোরে দেখা মিলছে কুয়াশার আর সন্ধ্যা নামলেই অনুভূত হচ্ছে শীত। পাতলা কাঁথার আবেশ ভুলে এখন সময় তাই লেপের উষ্ণতার। শনিবার (২১ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ব্যস্ত সময় পার করছেন এই এলাকার লেপ-তোষকের কারিগররা। তাদেরই একজন সোলেমান। দীর্ঘ ২৫ বছর এই কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি। তার বাবাও ছিলেন লেপ-তোষকের কারিগর। সেই থেকেই আস্তে আস্তে নিজেও কারিগর হয়েছেন সোলেমান।

বছরের অন্য সময়ের তুলনায় শীত মৌসুমে ব্যস্ত সময় পার করে সোলেমান। পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে তার স্ত্রীও সময় দেন তাকে। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা কাজ করে যে উপার্জন হয়, তা দিয়েই চলে সংসার। এ বিষয়ে লেপ-তোষকের কারিগর সোলেমান বাংলানিউজকে বলেন, স্বামী-স্ত্রী দুই জনে মিলে যে টাকা উপার্জন করি তা দিয়ে বাড়ি ভাড়া ও দোকান ভাড়া দিয়ে যা থাকে, তা দিয়েই কোনোমতে সংসার চালাই। দুইজন মিলে প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাজ করে মাসে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মত উপার্জন করি। শীত ছাড়াও সারাবছর উপার্জন প্রায় একই থাকে। তবে শীতের সময় লেপ-তোষকের চাহিদা বেশি। অনেকে পুরনো লেপ-তোষক নতুন করে সারাতেও আসে। তিনি জানান, তুলা ভেদে লেপ-তোষকের দামের পার্থক্য আছে। মজুরিও একেক রকম। পলি, শিমুল, পিসি, মাহিশা, ফাইবার, কার্পাস, উল, ব্লাজার ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের তুলা আছে বাজারে। তবে শিমুল ও কার্পাস তুলার লেপ-তোষক বা বালিশ বানাতে খরচটা একটু বেশি।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২০
এইচএমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।