ঢাকা: বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। ঋতু পরিক্রমায় শীত এলে কদর বাড়ে লেপ-তোষকের।
বছরের অন্য সময়ের তুলনায় শীত মৌসুমে ব্যস্ত সময় পার করে সোলেমান। পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে তার স্ত্রীও সময় দেন তাকে। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা কাজ করে যে উপার্জন হয়, তা দিয়েই চলে সংসার। এ বিষয়ে লেপ-তোষকের কারিগর সোলেমান বাংলানিউজকে বলেন, স্বামী-স্ত্রী দুই জনে মিলে যে টাকা উপার্জন করি তা দিয়ে বাড়ি ভাড়া ও দোকান ভাড়া দিয়ে যা থাকে, তা দিয়েই কোনোমতে সংসার চালাই। দুইজন মিলে প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাজ করে মাসে প্রায় ৩০ হাজার টাকার মত উপার্জন করি। শীত ছাড়াও সারাবছর উপার্জন প্রায় একই থাকে। তবে শীতের সময় লেপ-তোষকের চাহিদা বেশি। অনেকে পুরনো লেপ-তোষক নতুন করে সারাতেও আসে। তিনি জানান, তুলা ভেদে লেপ-তোষকের দামের পার্থক্য আছে। মজুরিও একেক রকম। পলি, শিমুল, পিসি, মাহিশা, ফাইবার, কার্পাস, উল, ব্লাজার ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের তুলা আছে বাজারে। তবে শিমুল ও কার্পাস তুলার লেপ-তোষক বা বালিশ বানাতে খরচটা একটু বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২০
এইচএমএস/এএটি