ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে।
তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২১, ১ মাঘ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪২। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
• ১৬৩৯: যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান গৃহীত হয়।
• ১৭৬১: পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে আহমদ শাহ দুররানীর নেতৃত্বে আফগানরা মারাঠাদের পরাজিত করে।
• ১৯৪৩: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে মরক্কোর ক্লাসাব্লাঙ্কা শহরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন ডি. রুজভেল্ট মিত্র শক্তির পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে বৈঠকে বসেন।
• ১৯৬৯: পূর্ব বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা কর্মসূচী গৃহীত হয়।
• ১৯৬৯: ভারতের মাদ্রাজ রাজ্যের নতুন নামকরণ হয় তামিলনাড়ু।
• ১৯৭৫: চীনে নতুন শাসনতন্ত্র ঘোষণা এবং প্রেসিডেন্ট পদ বিলোপ।
• ২০০৫: শনির উপগ্রহ টাইটানে হুইজেন্স প্রোবের অবতরণ।
• ২০০৮: নাসার পাঠানো ম্যাসেঞ্জার নামের মহাকাশযান প্রথম বুধ গ্রহের অদেখা গোলাধের্র ছবি তুলতে সক্ষম হয়।
জন্ম
• ১৫৫১: মুঘল যুগের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক আবুল ফজল।
• ১৭৬১: পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে আহমদ শাহ দুররানীর নেতৃত্বে আফগানরা মারাঠাদের পরাজিত করে।
• ১৮১৪: ডেনমার্কের রাজা সুইডেনের রাজার হাতে নরওয়েকে ছেড়ে দেন।
• ১৮৭৫: খ্যাতিমান ফরাসি চিকিৎসক এবং সংগীতবিদ আলবার্ট সোয়েৎজার।
• ১৯০৩: বাঙালি ইতিহাসবিদ, সাহিত্য সমালোচক ও শিল্পকলা গবেষক ড. নীহাররঞ্জন রায়। তিনি ছিলেন দেশবরেণ্য ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মনীষী।
• ১৯০৭: জামাইকার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কিংস্টন শহর বিধ্বস্ত হয়ে যায় এবং এক হাজার মানুষ নিহত হয়।
• ১৯২৫: জাপানি ঔপন্যাসিক ও নাট্যকার ইউকিও মিশিমা।
• ১৯২৬: লেখিকা মহাশ্বেতা দেবী।
• ১৯২৯: পশ্চিম বাংলার প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও সুরকার শ্যামল মিত্র। তিনি পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের জনপ্রিয় গায়কদের অন্যতম।
• ১৯৫১: বাংলাদেশি লেখক, ভাষাবিজ্ঞানী ও নজরুল গবেষক রাজীব হুমায়ুন।
• ২০০৮: নাসার পাঠানো ম্যাসেঞ্জার নামের মহাকাশযান প্রথম বুধ গ্রহের অদেখা গোলাধের্র ছবি তুলতে সক্ষম হয়।
মৃত্যু
• ১৭৪২: ব্রিটিশ জ্যোতির্বিদ, গণিতজ্ঞ ও হ্যালি ধূমকেতুর আবিষ্কারক এডমুন্ড হ্যালি।
• ১৭৫৩: আইরিশ দার্শনিক জর্জ বার্কলি।
• ১৮৯৮: ব্রিটিশ লেখক ও গণিতজ্ঞ লুই ক্যারল।
• ১৯৫৪: ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপিন বিহারী গাঙ্গুলি।
• ১৯৭৮: মার্কিন যুক্তিবিদ ও গণিতবিদ কুর্ট গ্যডল।
• ১৯৭৯: বাঙালি সাহিত্যিক ও প্রথিতযশা সাংবাদিক দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।
• ২০০৮: প্রখ্যাত বাংলাদেশি নাট্যকার ও গবেষক সেলিম আল দীন।
১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট ফেনীর সোনাগাজী থানার সেনেরখিল গ্রামে সেলিম আল দীনের জন্ম। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাট্যের বিষয় ও আঙ্গিক নিজ নাট্যে প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলা নাটকের আপন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন তিনি।
লেখক হিসাবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৬৮ সালে, কবি আহসান হাবিব সম্পাদিত দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকার মাধ্যমে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠাও সেলিম আল দীনের হাত ধরেই। সেলিম আল দীনের প্রথমদিককার নাটকের মধ্যে সর্প বিষয়ক গল্প, জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন, এক্সপ্লোসিভ ও মূল সমস্যার নাম ঘুরে ফিরে আসে। সেইসঙ্গে প্রাচ্য, কীর্তনখোলা, বাসন, আততায়ী, সয়ফুল মূলক বদিউজ্জামান, কেরামত মঙ্গল, হাত হদাই, যৈবতি কন্যার মন, মুনতাসির ফ্যান্টাসি ও চাকা সেলিম আল দীনকে ব্যতিক্রমধর্মী নাট্যকার হিসেবে পরিচিত করে তোলে।
জীবনের শেষ ভাগে ‘নিমজ্জন’ নামে মহাকাব্যিক এক উপাখ্যান বেরিয়ে আসে সেলিম আল দীনের কলম থেকে। ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২১
এফএম