ঢাকা: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা-অর্চনা, পিঠা ও পায়েসসহ বিভিন্ন রকম আয়োজন নিয়ে সকাল থেকেই শুরু হয়েছে পুরনো ঢাকার সাকরাইন উৎসব। এরপর বিকেলে ছিল ঘুড়ি উৎসব।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) উৎসব উপলক্ষে পুরনো ঢাকার বিভিন্ন বাসার ছাদ থেকে সবাই রঙবেরঙের ঘুড়ি ওড়ায়। মেতে ওঠে ঘুড়ি কাটাকাটি খেলায়। কেউ কেউ অপেক্ষা করে ঘুড়ি লটকানোরও।
ঘুড়ি ওড়ানো শেষে গোধূলি লগ্ন থেকে শুরু হয় আগুন নিয়ে খেলা। মুখে কেরোসিন তেল নিয়ে আগুনের ফুলকি রঙিন করে তোলে পৌষের শেষ সন্ধ্যেটা। সে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে আতসবাজির ভেলকি। আকাশজুড়ে অসংখ্য ফানুস মেঘের মত ভেসে বেড়ায় টিমটিমে জোনাকির আলোর মতো। সেই আবহে সাধারণ মানুষগুলো মেতে ওঠে সাউন্ডবক্সের গান আর ডিজে পার্টিতে।
সন্ধ্যায় পুরনো ঢাকার সূত্রাপুরে নিজেদের বাড়ির ছাদে সাকরাইন উদযাপন করছিলেন নাঈম উদ্দিন সিয়াম নামের এক তরুণ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘ বন্দিদশার পর এই উৎসব আমাদের কাছে একটু বেশিই আনন্দের। একইসঙ্গে এই উৎসবে মিশে আছে আমাদের ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্য সঙ্গে নিয়েই উদযাপনের মাধ্যমে আমরা পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে সময়টা পার করছি।
আশফি ইব্রাহিম নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিকেলে ঘুড়ি ওড়ানো শেষে আতসবাজি আর ফানুস ওড়ানোতেই খুঁজে পাই এই উৎসবের প্রাণ। করোনার পর এত বড় উৎসব এটাই প্রথম। পৌষের শেষ দিনে এই আয়োজন আমাদের আনন্দ আর ভালোবাসার খোরাক।
বিকেল থেকেই পুরনো ঢাকার এই বর্ণাঢ্য উৎসব দেখতে ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন অনেকে। বর্ণিল আলোকসজ্জায় সাজানো হয় এই এলাকার বিভিন্ন অংশ। তবে সেই আলোর তুলনায় পৌষের বিদায়ে মাঘের শুরুটা আরও রঙিন হবে এবং সুন্দর আগামীর সুসংবাদ বয়ে আনবে সবার জন্য- এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২১
এইচএমএস/জেআইএম