প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই সেখানে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।
সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৮ মাঘ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৭২৬: হেনরি লায়লের সভাপতিত্বে কলকাতায় প্রথম ফোর্ট উইলিয়ামে ‘মেয়রস কোর্ট’ স্থাপিত হয়।
১৮৫৫: কলকাতা থেকে আগ্রা পর্যন্ত টেলিগ্রাফ যোগাযোগ ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
১৮৬২: বঙ্গীয় আইনসভার (বেঙ্গল লেজিসলেটিভ কাউন্সিল) প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১৮৬৫: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনে প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনের স্বাক্ষর।
১৮৮৪: অক্সফোর্ড ইংলিশ ডিকশনানির প্রথম খণ্ড প্রকাশিত।
১৮৯৭: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাচীনতম ব্যাংক হিসেবে শিনহান ব্যাংক সিউলে তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
১৯০৫: বারাসত-বসিরহাট রেলপথ জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
১৯১৮: রাশিয়া গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী গ্রহণ করে।
১৯২৪: যুক্তরাজ্য সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নকে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৫৩: কলকাতার আলিপুরে অবস্থিত ইম্পেরিয়াল লাইব্রেরির জাতীয় গ্রন্থাগার নামকরণ হয় এবং এটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
১৯৬৫: স্যার উইনস্টন চার্চিলের সম্মানে কানাডার ল্যাব্রাডরে অবস্থিত হ্যামিলটন রিভারের নামকরণ করা হয় চার্চিল রিভার।
১৯৬৮: কানাডার তিনটি সামরিক সংস্থা— দ্য রয়েল কানাডিয়ান নেভী, দ্য কানাডিয়ান আর্মি এবং দ্য রয়েল কানাডিয়ান এয়ারফোর্স একত্রিত হয়ে কানাডিয়ান ফোর্সেস হয়।
১৯৭২: প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় সেনেগাল।
১৯৭৯: ১৫ বছর নির্বাসন শেষে ইরানের তেহরানে আধ্যাত্মিক নেতা রুহুল্লাহ্ খামেনির প্রত্যাবর্তন।
জন্ম
১৫৬১: হেনরি ব্রিগস, ব্রিটিশ গণিতজ্ঞ
১৯০৫: এমিলিও জিনো সেগরে, নোবেল বিজয়ী ইতালীয়-মার্কিন পদার্থবিদ
১৯০৭: গোবিন্দ চন্দ্র দেব, বাংলাদেশি বুদ্ধিজীবী
১৯১৮: শামসুল হক, আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক
১৯২২: শক্তিপদ রাজগুরু, ভারতীয় বাঙালি লেখক ও ঔপন্যাসিক
১৯২৮: কৃষ্ণ ধর, বাঙালি কবি ও সাহিত্যিক।
১৯৩০: অমলেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশিষ্ট বাঙালি জ্যোতির্বিজ্ঞানী;
শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশের ত্রয়োদশ ও পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি ও ষষ্ঠ প্রধান বিচারপতি;
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, সামরিক শাসক ও বাংলাদেশের দশম ও দ্বাদশ রাষ্ট্রপতি।
১৯৩১: ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ, বাংলাদেশের অষ্টাদশ রাষ্ট্রপতি
১৯৫৫: আহমেদ জহুর, কবি, সাংবাদিক, গবেষক ও প্রাবন্ধিক
১৯৯৪: হ্যারি স্টাইলস, ইংরেজ গায়ক ও গীতিকার
মৃত্যু
১৯৪৮: যতীন্দ্রমোহন বাগচী, বাঙালি কবি ও সম্পাদক
যতীন্দ্রমোহন নদিয়া জেলার জমশেরপুরে জমিদার পরিবারে (বর্তমান বাগচী জমশেরপুর) জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস হুগলির বলাগড় গ্রামে। তিনি তার প্রথম ডিগ্রি কলকাতার ডাফ কলেজ (বর্তমান স্কটিশ চার্চ কলেজ) থেকে নিয়েছিলেন।
যতীন্দ্রমোহন বহু সাহিত্যিক পত্রিকায় গঠনমূলক অবদান রেখেছেন। ১৯০৯ থেকে ১৯১৩ পর্যন্ত মানসী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ১৯২১ এবং ১৯২২ সালে তিনি যমুনা পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৮ পূর্বাচল পত্রিকার মালিক এবং সম্পাদক ছিলেন।
তার রচনায় তার সমকালীন রবীন্দ্র সাহিত্যের প্রভাব দেখা যায়। তাকে রবীন্দ্র পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের একজন প্রধান সাহিত্যিক হিসেবে বিবেচনা করে হয়। পল্লীপ্রীতি তার কবিমানসের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। তার কাব্যবস্তু নিসর্গ সৌন্দর্যে চিত্ররূপময়। গ্রামবাংলার শ্যামল স্নিগ্ধ রূপ উন্মোচনের প্রয়াস চালিয়েছেন তিনি। গ্রামজীবনের অতি সাধারণ বিষয় ও সুখ-দুঃখ তিনি সহজ সরল ভাষায় সহৃদয়তার সঙ্গে তাৎপর্যমণ্ডিত করে প্রকাশ করেছেন।
কাব্যগ্রন্থ
তার কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে: লেখা (১৯০৬), রেখা (১৯১০), অপরাজিতা (১৯১৫), বন্ধুর দান (১৯১৮), জাগরণী (১৯২২), নীহারিকা (১৯২৭) মহাভারতী (১৯৩৬), কাব্যমালঞ্চ, নাগকেশর, পাঞ্চজন্য, পথের সাথী প্রভৃতি।
উপন্যাস: পথের সাথী
যতীন্দ্রমোহন বাগচীর লেখা অন্যতম বিখ্যাত কবিতা ‘কাজলা দিদি’। তিনি ১৯৪৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৫৮: ক্লিনটন জোসেফ ডেভিসন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী
১৯৭৬: ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ, নোবেল বিজয়ী জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী
১৯৮৩: পদ্মা দেবী, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্রাভিনেত্রী
২০০৩: প্রথম ভারতীয় নারী মহাকাশচারী ও প্রকৌশলী কল্পনা চাওলার মৃত্যু
বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২১
এফএম