ঢাকা: প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই সেখানে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।
তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
রোববার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৫ ফাল্গুন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ১৫ রজব ১৪৪২। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৫৬৮: সম্রাট আকবরের কাছে রানা উদয় সিংয়ের আত্মসমর্পণ।
১৭০৮: নিউইয়র্কে ক্রীতদাসদের বিদ্রোহে ১১ জন নিহত।
১৮১৩: তৎকালীন ইউরোপের দুই বড় শক্তি প্রুশিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে রাজনৈতিক এবং সামরিক জোট গঠিত হয়।
১৮২৭: যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বাণিজ্যিক রেলপথ চালু হয়।
১৮৭৭: তুরস্ক ও সার্বিয়ার মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর।
১৮৮৩: ভারতে প্রথম টেলিগ্রাফ চালু হয়।
১৯১৯: স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আফগানিস্তানের অভ্যুদয়।
১৯২২: মিশর স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৪৮: ব্রিটিশ সৈন্যদের শেষ দল ভারত ত্যাগ করে।
১৯৭৪: বাংলাদেশে প্রথম আদমশুমারির কাজ সম্পন্ন।
১৯৮২: ঢাকার জাতীয় সংসদ ভবনের উদ্বোধন হয়।
১৯৮৪: স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের ট্রাকের তলায় পিষ্ট হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সেলিম ও দেলোয়ার শহীদ হন।
১৯৯১: তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিনিয়র জর্জ বুশ ইরাকের বিরুদ্ধে ৪০ দিনের যুদ্ধের পর যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন।
২০১৩: দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় দেয় আন্তর্জাতিক আপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
জন্ম
১৮৪৪: বিখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব গিরিশচন্দ্র ঘোষ
১৯৩১: এ বি এম মূসা, প্রখ্যাত বাংলাদেশি সাংবাদিক
এ বি এম মূসার জন্ম ১৯৩১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ধর্মপুর গ্রামে।
তিনি একাধারে একজন সাংবাদিক, সম্পাদক ও কলাম লেখক। বর্ণাঢ্য কমজীবনে তিনি দীর্ঘকাল ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ অবজার্ভার-এর বার্তা সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৪ সালে মৃত্যু পর্যন্ত টানা ছয় দশক তিনি সাংবাদিকতা করেছেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের সাংবাদিক মহলে ‘মুসা ভাই’ বলে খ্যাত সর্বজনশ্রদ্ধেয় এ বি এম মূসা ১৯৫০ সালে মাত্র ১৯ বৎসর বয়সে দৈনিক ইনসাফের মাধ্যমে সাংবাদিকতার জগতে প্রবেশ করেন। একই বছর তিনি ইংরেজি দৈনিক পাকিস্তান অবজারভারে যোগ দেন। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান অবজারভারে রিপোর্টার, স্পোর্টস রিপোর্টার, বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিবিসি, সানডে টাইমস প্রভৃতি পত্রিকার সংবাদদাতা হিসেবে রণাঙ্গন থেকে সংবাদ পাঠাতেন এ বি এম মূসা। স্বাধীনতার পর তিনি বিটিভির মহাব্যবস্থাপক, মর্নিং নিউজের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সরকারের নিমোর্হ সমালোচনায় তিনি ছিলেন নির্ভীক ও সোচ্চার। তার লেখনি ছিল ক্ষুরধার। তিনি আমৃত্যু সাধারণ মানুষের অধিকারের কথা বলেছেন। মৃত্যুর আগের বছরগুলোতে তিনি টেলিভিশন টক-শোতে গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে কথা বলে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার মৃত্যুর পর সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এ বি এম মূসা ছিলেন বাংলাদেশের সাংবাদিক সমাজের জ্যেষ্ঠতম সদস্য ও অভিভাবক। ’
২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল ৮৩ বছর বয়সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ বি এম মূসার মৃত্যু হয়।
১৯৩৬: সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, রম্যরচনার জন্য খ্যাত জনপ্রিয় বাঙালি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও প্রাবন্ধিক
১৯৫০: আজম খান, জনপ্রিয় বাংলাদেশি গায়ক
মৃত্যু
১৮৯০: রাশিয়ার জগদ্বিখ্যাত সুরকার আলেকজান্ডার বরোদিন
১৯১৬: মার্কিন কথাসাহিত্যিক হেনরি জেমস
১৯৭০: সাহিত্য সমালোচক শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
২০১৯: শাহ আলমগীর, বাংলাদেশি সাংবাদিক ও পিআইবির মহাপরিচালক
বাংলাদেশ সময়: ০০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১
এফএম