প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই সেখানে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।
তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।
বুধবার, ৩ মার্চ ২০২১, ১৮ ফাল্গুন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, ১৮ রজব ১৪৪২। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৫৭৫: তুকারয়ের যুদ্ধে মুঘল সম্রাট আকবরের বাহিনী বাংলার বাহিনীকে পরাজিত করে।
১৭০৭: মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যু হয়। যুবরাজ মুয়াজ্জম আওরঙ্গজেবের উত্তরাধিকারীর দায়িত্ব নেন ও বাহাদুর শাহ (প্রথম) নাম ধারণ করেন।
১৮৬১: রাশিয়ায় ভূমিদাস প্রথা বিলুপ্ত করা হয়।
১৯২৪: তুরস্কের জাতীয় পরিষদ খিলাফত বিলুপ্ত ঘোষণা করে।
১৯৭১: ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত এ গানটিকে ঢাকা শহরের পল্টন ময়দানে ঘোষিত ইশতেহারে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৯৭১: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে অসহযোগ আন্দোলন শুরু।
১৯৭২: বাংলাদেশ রাইফেলস প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭২: বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় শ্রীলংকা ও সোয়াজিল্যান্ড।
১৯৭৪: তুর্কি ডিসি-১০ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৩৪৬ জন নিহত হন।
১৯৭৬: বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে বাংলাদেশ সরকার ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ’ প্রবর্তন করে।
১৯৭৮: জাতীয় স্মৃতিসৌধের নকশা অনুমোদন।
১৯৯১: এস্তোনিয়া ও লাতভিয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পক্ষে ভোট দেয়।
জন্ম
১৮৩৯: ভারতের অগ্রণী শিল্পপতি ও টাটা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজি টাটা
১৮৪৭: আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল, স্কটিশ বিজ্ঞানী এবং উদ্ভাবক
১৮৯৩: প্যারীমোহন সেনগুপ্ত, বাঙালি কবি প্রবন্ধকার ও শিশুসাহিত্যিক
১৮৯৯: বাংলা চলচ্চিত্রের স্বনামধন্য কৌতুকাভিনেতা তুলসী চক্রবর্তী
১৯৫০: শেখ সাদী খান, স্বনামধন্য বাংলাদেশি সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক
শেখ সাদী খানকে ‘বাংলাদেশের সঙ্গীতের জাদুকর’ বলে অভিহিত করা হয়। তিনি ২০০৬ সালে ঘানি চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক বিভাগে এবং ২০১০ সালে ‘ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ সুরকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
তিনি ১৯৫০ সালের ৩ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিবপুর গ্রামের এক সঙ্গীত সমৃদ্ধশালী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা উপমহাদেশের বিখ্যাত সুর সাধক ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ। সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ তার চাচা।
শেখ সাদী খান ১৯৬৫ সালে রেডিও পাকিস্তানে বেহালা বাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬৮ সালে বেহালা বাদক হিসেবে তৎকালীন পাকিস্তান টেলিভিশনে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যুক্ত হন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের সঙ্গে। বাংলাদেশ স্বাধীন হলে বাংলাদেশ বেতারে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। ২০০৭ সালের মার্চে প্রধান সঙ্গীত প্রযোজক হিসেবে বাংলাদেশ বেতার থেকে অবসর নেন।
শেখ সাদী খান প্রথম চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেন ১৯৮০ সালে আবদুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত ‘এখনই সময়’ চলচ্চিত্রে। এ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে বাচসাস পুরস্কার পান তিনি। ১৯৮৫ সালে তার সঙ্গীত পরিচালনায় ‘সুখের সন্ধানে’ চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী মান্না দে। তিনি দেশি-বিদেশি অনেক শিল্পীর সঙ্গে কাজ করেছেন।
তার করা জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে অন্যতম— ডাকে পাখি খোলো আঁখি, পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই, আমার এ দু’টি চোখ পাথর তো নয়, জীবন মানে যন্ত্রণা নয় ফুলের বিছানা, ভালোবাসলে সবার সাথে ঘর বাঁধা যায় না, কাল সারা রাত ছিল স্বপনেরও রাত, আমি চিরকাল প্রেমেরও কাঙাল, তুমি রোজ বিকেলে আমার বাগানে ফুল নিতে আসতে, তোমার চন্দনা মরে গেছে প্রভৃতি।
মৃত্যু
১৭০৭: আওরঙ্গজেব, মুঘল সম্ৰাট
১৯৯২: সুকুমার সেন, শিক্ষাবিদ, ভাষাবিদ ও গবেষক
২০১৬: মার্টিন ক্রো, নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার ও লেখক
বাংলাদেশ সময়: ০০০২ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২১
এফএম