পাবনা, (ঈশ্বরদী): গ্রামীণ সমাজের মানুষ করে, ‘কারো বাড়ির আঙ্গিনায় যদি হলদে পাখি ডাকে তবে সেই বাড়িতে কুটুম বা মেহমান আসবে’ কালোমাথা বেনে বউ এক প্রজাতির হলুদ বৃক্ষচর পাখি। হলদে পাখি (বৈজ্ঞানিক নাম: Oriolus xanthornus) (ইংরেজি: Black-hooded Oriole) বা এরা কুটুম পাখি নামেও পরিচিত।
আকারে দেখতে ময়নার মতো, উজ্জ্বল হলুদ ও কালো রঙের পাখি। মাথা গলার রং, ডানা ও লেজের মাঝের পালকগুলোর রং কালো হয়। বাকি দেহ হলুদ রঙের। চঞ্চুর রং গোলাপি ও চোখের রং রক্তবর্ণ। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি একই ধরনের দেখতে হয় কিন্তু স্ত্রী পাখির মাথার কালো রং কম উজ্জ্বল। অপরিণত পাখিদের কপালের রং হলুদ হয় ও কালো মাথায় হলুদ দাগ দেখা যায়।
বিস্তার যেখানে: হিমালয়ের পাদদেশে সমতলের ও পাহাড়ের বাসিন্দা। ভারতবর্ষ ছাড়াও বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমারে দেখা যায়। স্থানীয় পরিযায়ী পাখি।
খাদ্য খেতে পছন্দ করে: খাদ্য হিসাবে ফল, জামজাতীয় ফল, কীটপতঙ্গ ও ফুলের মধু গ্রহণ করে।
স্বভাব যেমন তাদের: বৃক্ষাচারী পাখি। একা বা একজোড়া পাখিকে গাছপালাযুক্ত অঞ্চলে পত্রাচ্ছাদিত গাছে দেখা যায়। মানুষের বসতির কাছেও বসবাস করে। পার্কে বা বাগানে গাছের ওপর থেকে ডাকতে দেখা যায়। বাঁশির মতো সুরে ‘হোয়াই-ইউ’ বা ‘হোয়াই-ইউ-ইউ’ করে ডাকে। কর্কশভাবে ‘কোয়াক’ করেও ডাকে যা শুনতে অনেকটা হাঁড়িচাচার মতো শোনায়।
বাসস্থান যেমন পছন্দ: এপ্রিল থেকে জুলাই এর বাসা বানাবার সময়। ঘাস, গাছের তন্তু ও মাকরসার জাল দিয়ে সুন্দর কাপের মতো বাসা বানায়। ২ থেকে ৩ টি গোলাপি সাদা রঙের ডিম দেয় যার ওপরে কালো বা লালচে-বাদামী ছিট থাকে।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে ঈশ্বরদী-সিরাজগঞ্জ রেলরুটের বিখ্যাত ঘোলখ্যাত অঞ্চল হিসাবে পরিচিত সলপ রেলস্টেশন এলাকা থেকে ‘কালোমাথা বেনে বউ’ পাখিটির ছবিটি তুলেছেন আমাদের বাংলানিউজের করেসপন্ডেন্ট টিপু সুলতান।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০২১
এএটি