ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

বাজারে মৌসুমি ফলের সমাহার

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২১
বাজারে মৌসুমি ফলের সমাহার

ঢাকা: ‘গাছ পাকা ফল, গাছ পাকা ফল’ হাকডাকে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিল কারওয়ান বাজারের আম ও লিচু বিক্রেতা সোহেল হোসেন। নারায়ণগঞ্জের লিচু আর গাজীপুরের আম বিক্রি করছিলেন তিনি।

ক্রেতারাও দামদর করে কিনছিল। কেউ আবার দেখে অন্য দোকানে ছুটছেন।

শনিবার (২২ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, মৌসুমি ফল সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রেতারা। ঈদের পর থেকেই একটু একটু করে ক্রেতাও বেড়েছে। ফলে চাহিদা বেড়েছে মৌসুমি ফলের।

এ বিষয়ে ফল বিক্রেতা সোহেল হোসেন বলেন, গরম পড়তে শুরু করেছে। আর ফলও পাকতে শুরু করেছে। বাজারে যেমন ফল আসছে, তেমনি ক্রেতাও আছে। তবে দাম একেক জায়গায় একেক রকম।

এদিকে দাম যেমনই হোক পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতারাও খুশি মৌসুমি ফলের স্বাদ নিতে পেরে। ক্রেতাদেরও রয়েছে আগ্রহ। বিশেষ করে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ সবই এখন বাজারে বিদ্যমান। ক্রেতারাও তাই বেশ খুশি।

কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি পাকা কাঁঠাল ৭০ টাকা থেকে শুরু করে আকার ভেদে ২৫০ টাকা, প্রতিকেজি পাকা আম ৮০ টাকা থেকে জাতভেদে ১৬০ টাকা, প্রতি ১০০ পিস লিচু ২৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, প্রতিকেজি জাম ২৫০ টাকা, প্রতিটি তরমুজ আকার ভেদে ৫০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারে আছে জামরুল আর তালশাসও।

কথা হয় ফলের ক্রেতা ইমরান হোসেনের সঙ্গে। কাঁঠাল আর তরমুজ কেনার পর ঘুরছিলেন লিচুর বাজারে। তিনি বলেন, এবার সব ফল যেন একসঙ্গেই এসেছে। অন্যান্যবার প্রতিটি ফল কিছু সময় পরপর এলেও এবার আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ সবই এখন বাজারে। এটা বেশ ভালো।

তিনি বলেন, রাজধানীর অন্য যেকোনো জায়গার তুলনায় কারওয়ান বাজারে দাম বেশ কম। তাই বেশকিছু ফল কিনেছি, আরও কিছু কেনার ইচ্ছে আছে। আর আশা করি সামনে আরও সরবরাহ বাড়বে এবং তখন ফলের দাম আরও কমবে।

এদিকে মৌসুমি ফলের দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে। ফল বিক্রেতারা বলছেন, লকডাউনের কারণে পণ্য পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বেড়েছে ফলের। তারপরও দাম কমেছে এবং সামনে আরও কমবে। ঈদের পর থেকে ক্রমেই ফলের সরবরাহ বাড়ছে। এছাড়াও দামও আগের চেয়ে অনেকটা কমেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৪ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২১
এইচএমএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।