ঢাকা: বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসীসহ পুরো দেশ। মাঝে মধ্যে হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি প্রকৃতিকে ভিজিয়ে দিয়ে যায় কিছুটা স্বস্তি।
রাজধানীর চকবাজারের ইমামগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের কয়েকটি ছাতা কারখানায় ঘুরে দেখা যায়, কারিগররা গভীর মনোযোগ সহকারে কাজ করছেন। সারা বছরের বানানো ছাতা এ গরম-বৃষ্টির সময়তে বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকারি ব্যবসায়ী ও দোকানদারদের কাছে বিক্রি করা হয়।
ইমামগঞ্জ মোস্তফা ম্যানশনের ফারাজি আমব্রেলা অ্যান্ড কোম্পানির মালিক মামুন ফারাজি বলেন, বছরের শুরু থেকেই তাপমাত্রা অনেক তাই পাইকারি ব্যবসায়ীদের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখেই ছাতা বানাচ্ছি। আসছে বর্ষাকাল। আশা করি, ভালোই অর্ডার পাবো।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে ছাতা তৈরির কাজ। কয়েকজন কারিগর বলেন, অন্য সময়ে দুপুরে খাওয়ার পর বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্রাম নিতেন। এখন বিশ্রামের সময় নেই। দুপুরে খাবার খাওয়ার পর আবার কাজে নেমে পড়েন। অবশ্য এজন্য মিলছে বাড়তি টাকা।
এ কাজে মানুষের আগ্রহ খুবই কম তাই কারিগর পেতে হিমশিম খেতে হয় কারখানার মালিকদের।
এদিকে মার্কেটগুলোতে শুধু দেশি ছাতাই বিক্রি হয় না বরং রয়েছে বিদেশি ছাতাও। শিশুদের জন্য নানা রঙের বিভিন্ন ডিজাইনের ছাতা বিক্রি করা হয়। শিশুদের আনন্দ দিতে ডোরেমন, বারবি ডল, মিকি মাউসের ছবি ব্যবহার করে ছাতা তৈরি করা হয়।
ছাতা ও ছাতা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামের জন্য চকবাজার এলাকা হলো মূল ঘাঁটি। এখানে দেশি ছাতা ১৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, দেশি-বিদেশি দুই ভাঁজের ছাতা ২৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা ও বিদেশি ছাতা ৬৫০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করা হয়।
কারিগররা জানান, বিভিন্ন কোম্পানি এ সময় তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিজ্ঞাপনের জন্য ছাতা তৈরির অর্ডার দিয়ে থাকেন।
কারখানার মালিক ও ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা যেমন ছাতা বিদেশে রপ্তানি করি, তেমনি বিদেশ থেকে অনেক ছাতা দেশে আমদানি হয়। সরকার আমাদের ভালো সুযোগ-সুবিধা দিলে আমরাই সব ডিজাইনের ছাতা বানাতে সক্ষম হতাম। তখন আর বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২১
আরবি