মহামারি করোনার সংক্রমণ বাড়ায় ২২ জুন (মঙ্গলবার) থেকে ৭ দিনের জন্য রাজধানী ঢাকার আশ-পাশের ৭টি জেলার সঙ্গে পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করা হয়। দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ বন্ধ থাকায় রাজধানীগামী ও রাজধানী ছেড়ে যাওয়া যাত্রীরা পড়েছে চরম দুর্ভোগে।
বুধবার (২৩ জুন) রাজধানীর চট্টগ্রাম রোড, সায়েদাবাদ, গাবতলী, কমলাপুর রেলস্টেশন, সদরঘাট ঘুরে তুলে আনা হয়েছে বিভিন্ন চিত্র। যাত্রীবাহী পরিবহনগুলো রাজধানীর বাইরের জেলাগুলোতে যেতে সানারপাড় এলাকায় বাধা দিচ্ছে পুলিশ। বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় আগত আটকেপড়া যাত্রীরা বাড়ি যেতে সানারপাড় এলাকায় ভিড় জমাচ্ছে। অসুস্থ শিশুকে কোলে নিয়ে গাড়ির জন্য ছুটছেন এক মা। প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসগুলোতে নিয়ম না মেনে যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছেন। পুলিশ আটকালেই চিকিৎসাপত্র দেখিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীবিহীন, প্লাটফর্ম পুরোপুরো ফাঁকা। কমলাপুর রেলস্টেশন যাত্রীবিহীন, পুরোপুরি ফাঁকা। গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় বেরিকেট দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে হেঁটেই যাত্রীরা আসা-যাওয়া করছে। পাঠাও, উবার এবং সিনজিচালকের জন্য লকডাউন হলো পোয়াবারো। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে তিন-চার গুন বেশি ভাড়ায় যাত্রী আনা-নেওয়া করছে। সানারপাড় এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা মো. ফারুক বাংলানিউজকে জানান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে নিয়ম মানানোর কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সবাইকেই মহামারি করোনার সংক্রমণ রোধে নিয়ম-কানুন, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তবেই করোনা রোধ করা সম্ভব। গণপরিবহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা পরিষদের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২১
এএটি