ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

অলস সময় পার করছেন মাঝিরা, ঘাটে নেই হাঁকডাক 

ডিএইচ বাদল, সিনিয়র ফটোকরেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২১
অলস সময় পার করছেন মাঝিরা, ঘাটে নেই হাঁকডাক  ঘাটে বাঁধা নৌকার সারি। ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: বুড়িগঙ্গা নদীর দুই পাড়ে সবসময় বাঁধা থাকে নৌকা। কম বেশি থাকে লোকজনের যাতায়াতও।

গত মাসে কোরবানির ঈদের কেনাকাটার কারণে নদীর দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াত ছিল বেশি। ফলে যাত্রীদের হাঁকডাকে মুখর ছিল নদী।

একপাড়ে সদরঘাট, সোয়ারীঘাট ও মিটফোর্ড। অন্য পাড়ে কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা। নদীর দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম বাবুবাজার ব্রিজ। কিন্তু এপাড় থেকে ওপাড়ে ব্রিজ হয়ে ঘুরে আসতে হয় অনেকটা পথ। তাই কম সময়ে যেতে ভরসা একমাত্র নৌকাই। গত মাসে ঈদুল আজহার কারণে মাঝিরা কিছুটা আয় করতে পেরেছেন। কিন্তু ঈদের পরের দিন থেকে দেশে শুরু হয় কঠোর লকডাউন। ফলে সদরঘাট, সোয়ারীঘাট, বাবুবাজার ও কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার নদীপাড়ে নেমে আসে সুনসান নীরবতা।  

নদীপাড়ে ঘুরে দেখা যায়, নৌকা চলাচল নেই বললেই চলে। লক্ষ্য করা যায়নি ঘাটের মাঝিদের হাঁকডাক। কঠোর লকডাউনের পর থেকে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচল। লঞ্চবিহীন সদরঘাট প্লাটুন যেন পুরোপুরি ফাঁকা। বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে বেঁধে রাখা হয়েছে কয়েকশ নৌকা। আড্ডায় অলস সময় পার করছেন নৌকার মাঝিরা। লকডাউনে নৌকা পারাপারে লোকজন কম। এ সুযোগে বসে নেই নৌকার মালিকরা। অনেকে সারিয়ে নিচ্ছেন নৌকার ত্রুটিগুলো। কাজের ফাঁকে শ্রমিকদের কেউ কেউ খেতে বসছেন নদী পাড়েই। নৌকার মাঝি জলিল মৃধা বলেন, কোরবানি ঈদে মোটামুটি ভালোই কামিয়েছি। এখন কঠোর লকডাউনে সব বন্ধ। দুই পাশের মার্কেটগুলো খুলতে আরো প্রায় এক সপ্তাহ লাগবে। তাই নৌকাগুলোকে একটু মেয়ামত করিয়ে নিচ্ছি। জলিল মৃধা আরো বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকা চালাই আজ ২৫ বছর। আমাদের তো আর সরকারি কোনো সাহায্য আসে না। নেতারাও রাখেন না কোনো খোঁজখবর। নৌকা চালিয়ে যা আয় করি, তাতে কোনোমতে  সংসার চলে যায়। ভবিষ্যতের কথা ভাবি না। আল্লাহ এতদিন চালিয়ে নিয়েছেন। ভবিষ্যতেও চালিয়ে নেবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।