ঢাকা: বুড়িগঙ্গা নদীর পানির কথা মনে হলে চোখের সামনে ভেসে ওঠে উৎকট ঝাঁঝালো গন্ধের কালো পানি। কিন্তু বর্ষা এবং লকডাউনে অনেকটা বদলে গেছে সেই পানির রঙ, গন্ধ।
বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাট এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, পানিতে এখন আগের মতো দুর্গন্ধ নেই, পানির রঙ বদলে ঘন কালো বর্ণ উধাও।
লকডাউনে নৌযানগুলো নদীর বিভিন্ন অংশে নোঙর করে অলস পড়ে আছে। নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় নদীতে দূষণ কমেছে। একইসঙ্গে বর্ষার পানির প্রবাহে বুড়িগঙ্গার দুর্গন্ধযুক্ত কালো ময়লা পানি সরে গেছে। সব মিলিয়ে বুড়িগঙ্গায় এখন দুর্গন্ধহীন টলটলে পানি।
সাধারণত বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাট টার্মিনাল এলাকার পানি সবচেয়ে বেশি দূষিত থাকে সব সময়। সেখানকার চিত্র বদলে যাওয়া মানে বুড়িগঙ্গা নদীর অন্য অংশের পানির আরও বেশি উন্নতি হয়েছে।
বদলে যাওয়া পানিতে সদরঘাট টার্মিনাল এলাকায় শিশুদের ঝাঁপ দিয়ে শৈশবের দুরন্তপনায় মেতে উঠতে দেখা গেছে।
পানি বদলে যাওয়ায় বুড়িগঙ্গায় মাছ আসতে শুরু করেছে। সদরঘাট এলাকায় কয়েকজনকে জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা গেছে। বড়শি দিয়ে মাছ ধরতেও দেখা গেছে কয়েকজনকে।
তবে বুড়িগঙ্গার তলদেশে এখনো ময়লার স্তুপ। নদীতে জাল ফেলার পরে জালের সঙ্গে চিরাচরিত সেই কালো ময়লা ভেসে উঠতে দেখা গেছে।
সদরঘাট টার্মিনাল থেকে ডিঙি নৌকায় নদীর অপরপাড়ে যাত্রী পরিবহন করেন কাশেম মজুমদার।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, নদীর পানি বদলে গেছে। এখন আর পানিতে দুর্গন্ধ নাই। এখন আর আগের সেই কালো ময়লা পানিও নাই।
সদরঘাট এলাকার ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ বলেন, বর্ষার নতুন পানির প্রবাহ আগের ময়লা পানি সরিয়ে দিয়েছে। অনেক দিন ধরে লকডাউন চলছে। লকডাউনে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় নদীতে দূষণ কমেছে। সব মিলিয়ে নদীর পানি বদলে গেছে।
তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গায় যদি সব সময় টলটলে স্বচ্ছ পানি থাকতো, তাহলে এখানকার মানুষের স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকতো, একই সঙ্গে দুর্দান্ত একটা বিনোদন কেন্দ্র হতে পারতো।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট, ২০২১
এমইউএম/এসআই