পাহাড়।
খাগড়াছড়ি: পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিকাংশই জুম চাষের ওপর নির্ভরশীল। পাহাড়ে জুমের ফসল ফলিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন তারা।
পাহাড়ে চাষাবাদ করার সময় মাটি থেকে প্রায় আড়াই-তিন ফুট উঁচুতে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে মাচাং ঘর বানান জুমিয়ারা। এখানেই কাজের ফাঁকে খাওয়া-দাওয়া পর্বটি সেরে একটু জিরিয়ে নেন তারা। চাষাবাদ করতে ভোরে ঘর থেকে বের হন জুমিয়ারা। চলে আসেন উঁচ-নিচু সবুজে ঘেরা পাহাড়ে। বিক্রির জন্য মারফা, কচু, বেগুন, ভুট্টা, আদা, হলুদ, বাঁশ, তিত করলাসহ নানা রকম শাকসবজি নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে হাট-বাজারে আসেন। পুরুষের চেয়ে পাহাড়ি নারীরা বেশি পরিশ্রমী। সংসার সামাল দেওয়া, জুম চাষ করা এবং জুম থেকে ঝুঁড়িতে করে কৃষিপণ্য মাথায় নিয়ে হাট-বাজারে ছুটে যান তারা। পাহাড়ের স্থানীয় খাবারের তালিকায় যে নামটি প্রথমে আসে সেটি হলো কচি বাঁশ। হরেক পদের খাবারে বাড়তি মাত্রা যোগ করে এটি। মাংস কিংবা সবজি- বাঁশ থাকবেই। এছাড়া বাঁশ সিদ্ধ কিংবা বাঁশ দিয়ে রান্না করা ডাল ভোজনরসিকের ষোলআনা পূর্ণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২১
এডি/এএটি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।