ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ফেলে দেওয়া বোতল কুড়িয়েই চলে তাদের সংসার

দেলোয়ার হোসেন বাদল, সিনিয়র ফটোকরেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
ফেলে দেওয়া বোতল কুড়িয়েই চলে তাদের সংসার ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

ঢাকা: ভোরের আলো না ফুটতেই বস্তা হাতে বেড়িয়ে পড়েন ফেলে দেওয়া পানির বোতল, তেলের বোতলসহ সব ধরনের প্লাস্টিক কুড়ানোর জন্য। শহর কিংবা গ্রামের আনাচে-কানাচে ঘুরে দিনব্যাপী তা সংগ্রহ করেন।

আর কিছু টাকার আশায় বিক্রি করেন প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানায়। সেই পয়সায় চলে তাদের সংসার।

ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক বোতল প্রক্রিয়াজাত ও পুনরায় বিক্রি করে খেয়ে পড়ে বেঁচে আছেন অনেকে। আর তাই এ কাজে ঝুঁকছেন অনেক নারী-পুরুষ।

রাস্তা, ড্রেন, ডোবা অথবা নদীসহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য কুড়িয়ে আনা হয় কারখানায়। বর্জ্যের স্তূপ থেকে সেগুলো বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় রিসাইকেলিং করেন শ্রমিকেরা।

বাছাইয়ের কাজ শেষে টুকরো টুকরো করে কেটে পানিতে ভাল করে ধুয়ে শুকিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের ব্যবহারিক পণ্য তৈরি করা হয়।

এছাড়া এসব বোতল থেকে তৈরি হয় প্লাস্টিক ফ্লেকস, যা রপ্তানিও হয় অনেক দেশে। দেশের অভ্যন্তরেও বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করা হচ্ছে এ দানা থেকে। এ ব্যবসায় কম পুঁজিতে লাভ তুলনামূলক বেশি।

রাজধানীর সোয়ারী ঘাট, কামরাঙ্গীচর বেড়িবাঁধ এলাকা ঘুরে দেখা যায় অনেক নারী পুরুষ ও শিশুরা পরিত্যক্ত বোতলগুলো বাছাই, ধোয়া ও শুকানোর কাজে ব্যাস্ত।

পিরোজপুর থেকে আসা শ্রমিক মোক্তার জানান, ৭ বছর বয়স থেকে এই কাজের সঙ্গে জড়িত। এখন প্রায় ৭/৮ বছর হয়ে গেছে। প্রথমে বোতল টোকাইয়ের কাজ করতাম এখন কারখানায় কাজ করি। মাসে ৬ হাজার টাকা বেতন পাই। এই টাকা মায়ের হাতে দেই। তিন বেলার জায়গায় দুই বেলা খেয়ে জীবন চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।