ঢাকা: সকালে বেরিয়েছি অফিসের অ্যাসাইনমেন্ট কাভার করার উদ্দেশে। পোস্তগোলা চীন মৈত্রী সেতুর ওপর টোল প্লাজার পাশে দাঁড়িয়ে আছি সহকর্মী আসবেন এই অপেক্ষায়।
রাজাবাজার টোল প্লাজার ঠিক পেছনে ব্রিজের নিচে ১৭-১৮ বছরের দুই যুবককে দেখলাম। তারা ভ্যানে করে বেশ কয়েকটি ফিল্টার পানির গ্যালন এনে ড্রেনের পাশে রাখলেন।
মনের ভেতর কৌতূহল সৃষ্টি হলো। পথচারীরা রাস্তার পাশের হোটেল, চায়ের দোকানের পানি কিংবা ফুটপাতে যে শরবতগুলো টাকার বিনিময়ে পান করছেন, আসলে কি ওই পানি ফিল্টার করা? জীবাণুমুক্ত বা পরিশোধিত পানি?
নিজেকে আড়াল করে তাদের কর্মকাণ্ড একটু গোপনভাবে ক্যামেরায় বন্দি করতে লাগলাম।
প্রথমে তারা ভ্যানগাড়ি থেকে ব্যবহৃত নোংরা ঢাকনাবিহীন পানির গ্যালনগুলো নামিয়ে বিভিন্ন দোকানের নম্বর অনুযায়ী সারিবদ্ধভাবে রাখলেন। পরে সাবান পানি দিয়ে গ্যালনগুলোর বাইরের অংশের ময়লা পরিষ্কার করলেন। এমনভাবে পরিষ্কারের চেষ্টা করলেন, যেন বোতলগুলো কিছুটা নতুন মনে হয়।
এরপর সেগুলো এক বাড়ির ছাদে ওয়াসার পানি দিয়ে ধুয়ে আবার ভ্যানে রাখা হলো। পরে ওয়াসার ওই পানি দিয়ে গ্যালনগুলো ভর্তি করা হলো। আর পলিথিনের ব্যাগে রাখা নতুন ঢাকনা এনে গ্যালনের নতুন মুখ আটকালেন তারা।
সব কয়টি পানির গ্যালনে নতুন মুখ থাকায় মনে হয় কোনো পানির ফ্যাক্টরি থেকে রিফাইন ও ফিল্টার করে পানি ভরা হয়েছে। এরপর তারা ভ্যানগাড়ি নিয়ে ওই স্থান ত্যাগ করলেন।
স্থানীয় এক বৃদ্ধ জলিল মৃধা বলেন, পানি নেওয়ার জন্য ওই ব্যক্তিরা প্রতিদিন এখানে আসে। তবে পানি ভর্তি বোতলগুলো কোথায় বিক্রি করা হয় তা জানা নেই।
তিনি আরও বলেন, মানুষকে টাকার বিনিময়ে নোংরা, জীবাণুযুক্ত পানি পান করাচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এ ধরনের পানি বাজারে বিক্রি করা অন্যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২১
এনএইচআর/এনএসআর