ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ঐতিহ্যবাহী ‘রাখের উপবাস’ (ফটোস্টোরি)

শোয়েব মিথুন, সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২১
ঐতিহ্যবাহী ‘রাখের উপবাস’ (ফটোস্টোরি) রাখের উপবাসে ভক্তরা। ছবি:শোয়েব মিথুন

ঢাকা: বিপদ-আপদ, রোগবালাই থেকে মুক্তি কামনায় বিশ্বে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রতিবছর কার্তিক মাসের শেষ ১৫ দিনের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) পালন করে 'কার্তিক ব্রত’ বা ‘রাখের উপবাস’। অনেকে আবার ‘গোসাইর উপবাস’ ও ‘ঘৃত প্রদীপ প্রজ্বলন’ উৎসব নামেও জানেন।

এই উৎসবের অন্যতম বড় কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম, আর ঢাকার স্বামীবাগের লোকনাথ আশ্রম। প্রতিবছর ঘটা করে এ উৎসব পালিত হয়। দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা প্রদীপ হাতে এখানে এসে জড়ো হন। এদিন সাধারণত ভক্তরা লোকনাথের মন্দিরে গিয়ে প্রদীপ ও ধুপ জ্বালিয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন। ভক্তদের আগমনে এই স্থান তীর্থস্থানে পরিণত হয়। আর চারদিকের ধুপের ধোঁয়া ও প্রদীপের আলোয় এক স্বর্গীয় অনুভূতি হয় ভক্তদের প্রাণে প্রাণে।  সরেজমিনে দেখা যায়, করোনা সংক্রমণ এড়াতে ভক্ত বা পুর্ণাথীদের অনেকেই মুখে মাস্ক পরে এসেছেন। তবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাচ্ছে না। হাজার হাজার ভক্তদের আগমনে। সবার একটাই চাওয়া প্রিয়জন পরিবারকে ঈশ্বর সব বিপদ থেকে রক্ষা করবে। ব্রত উদযাপনে আসা ভক্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই ব্রতের আগের দিন সংযম করতে হয়। তারপর উপবাস থেকে সন্ধ্যায় আগে ধুপ, প্রদীপ ইত্যাদি নিয়ে বসতে হবে। আরাধনায় বসে প্রদীপ জ্বালানোর পর কথা বলা বন্ধ করে দিতে হয়। সংযম, মনোব্রত ও মনটাকে একাত্মচিত্তে লোকনাথকে ডাকতে হয়। প্রদীপ যখন জ্বলানো শেষ হবে, মন্দির থেকে চাল ও কলা দিয়ে দেয়। সেই চাল কলা দিয়েই পুণ্যার্থীরা উপবাস ভঙ্গ করবেন। প্রদীপ, ধুপ, ফল, ফুল সামনে নিয়ে একাগ্রচিত্তে ঈশ্বরের আরাধনায় নিমগ্ন হাজারো ভক্ত। ধুপ ও প্রদীপের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন পরিবেশে প্রার্থনায় ভক্তরা। চারদিক ধুপ ও প্রদীপের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন মন্দির প্রাঙ্গণ যেন স্বর্গে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।