রাত পোহালেই শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হবে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উৎসব ‘সাকরাইন’। শত শত ঘুড়িতে সাজবে নীল আকাশ।
রাজধানী ঢাকার ইতিহাস প্রায় ৪০০ বছরের। এই ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে পৌষ সংক্রান্তি। এই উৎসব শীতকালেই উদযাপিত হয়। বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন হলো পৌষ সংক্রান্তি । এ দিনকে ঢাকাইয়া ভাষায় ‘সাকরাইন’ নামে পরিচিত।
মহামারী করোনা সব কিছু থেমে থাকলেও কখনোই থেমে থাকে না এই উৎসব। এই উৎসব পুরান ঢাকাবাসীদের রক্তের সঙ্গে মিশে আশে।
পুরান ঢাকার শাঁখারি বাজার, তাঁতি বাজার ঘুরে দেখায় যায়, সেখানকার প্রতিটি ঘুড়ি, লাটাই ও সুতার দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। দোকানগুলো থরে থরে সাজানো হয়েছে বিভিন্ন রঙের, নানা রকমের ডিজাইনে ছোট-বড় ঘুড়ি, নাটাই দিয়ে। বয়সের নেই কোনো ভেদাভেদ। ছোট বড় সব ধরনের ছেলে মেয়েরাই ঘুড়ি কেনায় ব্যস্ত।
অন্যান্য দিনে একটি ঘুড়ি পাঁচ টাকা হলে সাকরাইন উপলক্ষে তা বেড়ে হয়ে যায় ১০-১৫ টাকায়। ঘুড়ির নাটাই, সুতো সব কিছুর দামই তিন-চার গুণ বেড়ে যায়। চায়না, কোরিয়ান ঘুড়ির দাম ১৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
আরসিন গেট থেকে ঘুড়ি কিনতে আসা সালমান বলেন, অন্যান্য সময়ের তুলনায় দামটা একটু বেশি। তারপরও খারাপ লাগে না। কারণ সাকরাইন তো বছরের একবারই হয়।
এছাড়াও সাকরাইন উপলক্ষে কলতা বাজার, শিংটোলা, কাগজী টোলা, সূত্রাপুর, লক্ষ্মীবাজার, বাংলাবাজার, ফরাশগঞ্জ, বানিয়ানগর, আইজি গেট, আরসিন গেট, গেন্ডারিয়া প্রভৃতি এলাকা সাকরাইনের জন্য বসে নাটাই ঘুড়ির মেলা। এই দিনে মহল্লাগুলো ফিরে পাবে নতুন প্রাণ।
প্রতিটি মহল্লাকে সাজানো হবে বিভিন্ন রকমের কাগজের ফুল ও বেলুন দিয়ে। দিনে সাউন্ড সিস্টেমের সঙ্গে বাজবে গান আর ঘুড়ি কাটাকাটির লড়াই। রাতে ফুটানো হবে আতশবাজি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
কেএআর