ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

‘শীত-বর্ষা আমার চুড়ির দোকান সব সময় খোলা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
‘শীত-বর্ষা আমার চুড়ির দোকান সব সময় খোলা’ চুড়ি নিয়ে বসে আছেন হোসনে আরা বেগম। ছবি: বাংলানিউজ

নারায়ণগঞ্জ: ‘শীত-বর্ষা আমার চুড়ির দোকান আমি সব সময় খোলা রাখি। দোকানে বসে চুড়ি বিক্রি করি, ভালো বেচাও হয়।

আমার মেয়ে-নাতিরা এসে কেনে। এই চুড়ি বিক্রির পেশায় আমি আছি অনেক বছর ধরে। নিজের কাজ নিজে করে খাই। সাহেব মারা গেছেন ১০ বছর হয়েছে, আমি এখন জীবনের সঙ্গে লড়াই করতে শিখে গেছি’।  

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে দেওভোগ শেখ রাসেল পার্কের বাইরে বাংলানিউজের কাছে কথাগুলো বলছিলেন এক চুড়ি বিক্রেতা বৃদ্ধা নারী।  

নারায়ণগঞ্জের দেওভোগ এলাকায় বসবাস করেন হোসনে আরা বেগম, তার বয়স ৭০ বছর। চার ছেলে থাকলেও তারা তাদের মত বড় হয়ে কাজ করে পরিবার চালান। আর হোসনে আরা নিজের আয় দিয়ে নিজে চলেন। প্রতিদিন প্রকৃতির রং যেমনই হোক, শীত কিংবা বর্ষা তিনি এসে দোকান খুলে বসেন।  

হোসনে আরা বলেন, ‘১০ বছর আগে সাহেব মারা গেছেন। এরপর কেউ আর সেভাবে খোঁজ নেয়নি। ছেলেরা নিজেদের মত করে বড় হয়ে নিজেদের সংসার গুছিয়ে নিয়েছে। আমি এখন চুড়ি বিক্রি করে নিজের খরচ নিজে চালাই। একা মানুষ, চিন্তা করি না, আল্লাহ যা ভাগ্যে লিখে রেখেছে তাই হবে’।  

বিকেলের পর বেচাবিক্রি ভালো হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে তো ক্রেতা থাকে না। দুই-একজন আসে। বিকেলের পর জামাই-বউরা আসে এসে চুড়ি কিনে। মেয়েরা দলবেঁধে এসে কিনে। আমি তো বেশি লাভ করি না, নিজে চলার মত টাকাও আমার বেশি লাগে না তাই দাম কম রাখি বলে সবাই ছুটে আসে চুড়ি কিনতে’।  

নার্গিস নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার চুড়ির দরকার হলে খালার কাছে আসি। উনি চুড়ির দাম কম রাখেন। দাম আর তার দোকানের চুড়িও ভালো। আমার পরিচিত সবাইকেও আমি বলেছি, খালার দোকান থেকে চুড়ি কিনতে’।  

বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
এমআরপি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।