গোল গোল চোখ, হাত দুটো দু’দিকে ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ওরা। দেখলেই ইচ্ছে করে দৌড়ে গিয়ে কোলে তুলে নিই।
ছোট ছোট কাপড়ের তৈরি এই পুতুলগুলো নিয়ে কেটে গেছে আমাদের ছোটবেলা। রাজকন্যা, রানি, কেউ আবার নতুন বর-বৌ! একতারা হাতে বাউল যেমন আছে, তেমনি আছে তাঁতী পুতুলও। চাইলেই মনের মতো গড়ন দিয়ে গড়া যায় এই পুতুলগুলো। সময়ের বিবর্তনে এই পুতুলগুলোর চল হারালেও এখনো তা ঠাই বসে আছে আমাদের হৃদয়ে। তাইতো পুতুলের ওই মিষ্টি মুখ দেখলেই মন জুড়িয়ে যায়। অনেকে আবার গল্প করে সময়ও কাটান এই পুতুলের সঙ্গে। একটু চেষ্টা করলে বাড়িতে বসে তৈরি করে নেওয়া যায় এমন সুন্দর পুতুল। এখন বিভিন্ন বড় বড় শপেও পাওয়া যায় এসব পুতুল। লোকজ এই পুতুলের চুল তৈরি করা হয় সুতা বা উল দিয়ে। মেঘবরণ সেসব চুলও মন কাড়ে অনেকের। মেম পুতুল বা দেশি পুতুল হিসেবে চুলের রঙ হয় কালো, সোনালি বা খয়েরি। অনেক পুতুলের মাথার মধ্যে পেনসিল দিয়ে আঁকা হয় সিঁথি। অনেক পুতুলের থাকে জামা, আবার অনেকে পুতুলকে শাড়িও পরান। কাপড় কেটে জামা, স্কার্ট, ব্লাউজ! পুতুলের নানা ধরনের পোশাক বানাতেই পারেন ইচ্ছে মতো। সঙ্গে পুরনো কানের দুল, গলার হার থাকলে তা-ও ব্যবহার করা যায় পুতুল সাজানোর জন্য। এ নিয়ে পুতুল শিল্পী ফারহানা শারমিন সূচি বলেন, কাপড়ের পুতুল আমাদের লোকজ ঐতিহ্য। চাইলেই ফেলনা কাপড় দিয়েও খেলনা তৈরি করা সম্ভব। রং নষ্ট না হলে পুরনো কাপড়ও ফেলনা নয়। নতুন কাপড় তো বটেই; পুরনো কাপড় দিয়েও তৈরি করা যায় পুতুল। আগের দিনে দাদি-নানিরা তো তাই করতো। বিশেষ করে গৃহিণীরা অবসরে কাপড়ের পুতুল বানিয়ে ছেলেমেয়েদের খেলনা হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২২
এইচএমএস/এএটি