ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

‘কিংব্যাক’ মোনেম মুন্নার ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩
‘কিংব্যাক’ মোনেম মুন্নার ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ও ঢাকা আবাহনীর সাবেক তারকা ফুটবলার ‘কিংব্যাক’ খ্যাত মোনেম মুন্নার ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৫ সালের এই দিনে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন মোনেম মুন্না।

স্ত্রী সুরভী মোনেমের কোলে এক পুত্র আজমান সালিদ এবং এক কন্যা ইউসরা মোনেমকে তুলে দিয়ে পরপারে পাড়ি জমান মুন্না। আশ্চর্যের বিষয় হলো, আজ মুন্নার শুধু মৃত্যুবার্ষিকীই নয়, মুন্না-সুরভীর বিবাহ বার্ষিকীও।

মুন্নার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর ঘাট হতে সোনালী অতীত ক্লাব ও বন্দরে মোনেম মুন্না স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে শোক র‌্যালির আয়োজন করা হয়েছে। র‌্যালী শেষে এতে অংশগ্রহণকারীরা মুন্নার কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার জন্য দোয়া করবেন। এছাড়া বাদ যোহর বন্দর মুন্না স্মৃতি ক্লাবে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এই মিলাদ মাহফিলে সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান করা হয়েছে।

খেলোয়াড়ি জীবনে অসুস্থ হলেও মুন্নাকে মাঠে নামতে হতো অতিমাত্রায় পেইন কিলার ইনজেকশন শরীরে পুশ করে। এমনও হয়েছে জ্বরের শরীর, কঠিন ম্যাচ, পয়েন্ট নষ্ট হলে সর্বনাশ। সমর্থকদের আক্রমণ সামাল দেওয়া যাবে না। একাদশে নামার আগে ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে। জ্বর খুব একটা কমেনি। বিরতির সময় ড্রেসিংরুমে এসে আবার পেইন কিলার ইনজেকশন পুশ করিয়েছেন মুন্না। ভেতরে ভেতরে কিডনি নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল, সেটা টের পাননি দেশের ফুটবলের কিংবদন্তি মোনেম মুন্না। ১৯৯৫ সালে যার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ট্রফি জয় করেছিল। সেটি মিয়ানমার থেকে চার জাতি টুর্নামেন্টে। কোচ ছিলেন জার্মানির বিশ্বখ্যাত অটো ফিস্টার।

১৯৮৬ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় মুন্নার। তিনি তিনবার জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৯৫ সালে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত চার জাতির টাইগার ট্রফি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়। এটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা জয়। তার অধিনায়কত্বেই ১৯৯৫ সাফ গেমসে বাংলাদেশ রানার্সআপ হয়েছিল। ১৯৯৭ সালের ৩১শে মার্চ মুন্না ৩০ বছর বয়সে দেশের পক্ষে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেন। সৌদি আরবের জেদ্দায় প্রিন্স আবদুল্লাহ আল ফয়সাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ছিল ওই ম্যাচটি। তিনি আমৃত্যু ঢাকা আবাহনীর হয়ে খেলে গেছেন। ২০০৮ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন মুন্নার স্মরণে ধানমন্ডির ৮ নম্বর সেতুটির নাম ‘মোনেম মুন্না সেতু’ নামকরণ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩
এআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।