ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

বাংলাদেশকে ‘প্রতিদান’ দিতে চান এলিটা কিংসলে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট স্পোর্টস  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩১ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৩
বাংলাদেশকে ‘প্রতিদান’ দিতে চান এলিটা কিংসলে

সিলেট থেকে: অবশেষে বাংলাদেশের হয়ে খেলার স্বপ্নপূরণ হয়েছে এলিটা কিংসের। সিশেলসের বিপক্ষে গতকালের  (২৫ মার্চ) ম্যাচ দিয়ে লাল-সবুজের জার্সিতে আনুষ্ঠানিক অভিষেক হয়েছে নাইজেরিয়ান বংশোদ্ভুত এই স্ট্রাইকারের।

দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় এবার বাংলাদেশকে প্রতিদান দিতে চান তিনি।

অভিষেকটা অবশ্য মন্দ হয়নি কিংসের। বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে প্রথম কোনও বিদেশি ফুটলার হিসেবে মাঠে নেমেই প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ছড়িয়েছেন তিনি। গোল না পেলেও তৈরি করেছিলেন দুটি গোলের সুযোগ। জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন পূরণের পর এবার এলিটার লক্ষ্য সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করা।

সিশেলসের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে আজ সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন পূরণের পর এবার নতুন লক্ষ্যের কথা জানালেন এলিটা কিংসলে।

এলিটা বলেন, ‘নাইজেরিয়া জাতীয় দলে খেলা আমার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু যখন এটা হচ্ছিল না তখন আমি চিন্তা করছিলাম দেশের বাইরে গিয়ে হলেও আমি কোনও জাতীয় দলের হয়ে খেলবো। জাতীয় দলে খেলা আমার স্বপ্ন ছিল। সেটা বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলে পূরণ হয়েছে। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। ’

জাতীয় দলের খেলার স্বপ্ন পূরণ হলেও গোলের দেখা মেলেনি কিংসলের। তবে আগামী ম্যাচে গোলের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘আমার পরের স্বপ্ন হলো নিজের কাজটা ঠিকভাবে করা। আমার কাজ হলো দলের জন্য যত বেশি সম্ভব গোল করা। আমি চাই জাতীয় দলের হয়ে অনেক অনেক গোল করতে এখন এটাই আমার স্বপ্ন। ’ 

পরের ম্যাচে সুযোগগুলো কাজে লাগাতে চান কিংসলে। যদিও প্রথম ম্যাচে গোল না পাওয়ার জন্য মাঠকে দুষলেন তিনি, ‘একজন স্ট্রাইকার হিসেবে গোল করাটাই আমার মূল দায়িত্ব। গত ম্যাচে আমি দুটো সুযোগ তৈরি করেছিলাম। তবে শুধু সুযোগ তৈরি করেই আমি থামতে চাই না। আমার মূল লক্ষ্য গোল করা। গত ম্যাচে দুটো শটই উপরে উঠে গেছে। এই মাঠে বল বাউন্স বেশি হয়। এই কারণে বল যেখানে থাকার কথা ছিল বা শট যেভাবে যাওয়ার কথা ছিল সেভাবে হয়নি। এই মাঠের মান আরও উন্নত করা উচিত। ’

স্ত্রীর অনুপ্রেরণাতেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখেছেন বলে জানিয়েছেন কিংসলে, ‘২০১২ সালে আমি বিয়ে করি। এরপর ২০১৫ সালে চিটাগাং আবাহনীর হয়ে শেখ কামাল কাপে শিরোপা জয়ের পর আমি সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে বাংলাদেশের পতাকা হাতে মাঠে দৌড়েছিলাম। তখন আমার স্ত্রী আমাকে প্রশ্ন করে তুমি বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চাও সেখান থেকে আমি বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার অনুপ্রেরণা পাই। ’

কিংসলের বয়স ৩৩ বছর। এই বয়সে জাতীয় দলে কতটা অবদান রাখতে পারবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এলিটা বলেন শারীরিকভাবে না পারলেও অভিজ্ঞতা দিয়ে দলের কাজে আসতে চান তিনি, ‘হ্যা ফুটবলের সঙ্গে বয়েসের একটা যোগসূত্র আছে। তবে আমি শারীরিক পরিশ্রমের চেয়ে নিজের অভিজ্ঞতাকে মাঠে বেশি কাজে লাগাতে চাই। বল পায়ে এবং বল ছাড়া নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমি দলের উপকারে আসতে পারি। দলের কোচও আমাকে এমনটাই বলেছেন। এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। ’

২০০৩ সালে সাফ শিরোপা জয়ের পর থেকে আর শিরোপার দেখা মেলেনি বাংলাদেশের। এবার সেই শিরোপা খরা কাটাতে চান কিংসলে, ‘কোচের সঙ্গে প্রথম মিটিংয়ে আমার এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা এবার শুধু সাফে ভালো খেলতে চাই না। আমরা এবার শিরোপা জয়ে জন্য খেলতে চাই। আমাদের লক্ষ্য সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। জানি না ভবিষ্যতে কি হবে। তবে আমাদের চিন্তা শুধু গ্রুপ পর্ব পার করা নিয়ে না আমাদের লক্ষ্য সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৩
এআর/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।