ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ফুটবল

ইন্টার মায়ামিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন মেসি!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৬ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২৩
ইন্টার মায়ামিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন মেসি!

বেশ কয়েকদিন ধরেই জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল বার্সেলোনায় ফিরতে পারেন মেসি। একইসঙ্গে আর্জেন্টাইন এই তারকাকে দলে ভেড়াতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল সৌদি ক্লাব আল হিলাল ও আমেরিকান ক্লাব ইন্টার মায়ামি।

সেখান থেকে এবার ডেভিড বেকহ্যামের ক্লাবকেই বেছে নিলেন মেসি।  

বিবিসির সাংবাদিক গুইলেম বালাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সৌদি ক্লাব আল হিলালের দেওয়া লাভজনক সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এই সিদ্ধান্ত নেন মেসি। এছাড়া বার্সেলোনায় ভরসা না পাওয়ার কারণে এদিকটাও এড়িয়ে যান আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। ইন্টার মায়ামিতে ঠিক কি পরিমাণ বেতন পাবেন সে বিষয়ে এখনও জানা যায়নি অবশ্য।  

তবে গত সপ্তাহে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম 'স্পোর্ত' এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ইংলিশ কিংবদন্তি ডেভিড বেকহ্যামের সহ-মালিকানাধীন ক্লাব ইন্টার মায়ামি মেসিকে চার মৌসুমের জন্য ২০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছিল। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে গেলে প্রতি মৌসুমে ৫০ মিলিয়ন ইউরো (৫৪ মিলিয়ন ডলার) পাবেন মেসি। ৩০ জুন পিএসজির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ছাড়াছাড়ির পর মেসি নিজেও নাকি ইন্টার মায়ামির দিকেই ঝুঁকে পড়েছেন।

মেসির বার্সায় না ফিরতে চাওয়ার পেছনে অবশ্য এর পেছনে অবশ্য কারণও আছে। দুই মৌসুম আগেই আর্থিক দুরবস্থার কারণে ক্লাবের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়কে ধরে রাখতে অপারগতা প্রকাশ করে বার্সা। ফলে চুক্তি নবায়নের আশায় ছুটি থেকে ফিরে কাঁদতে কাঁদতে ক্যাম্প ন্যু ছেড়ে পিএসজিতে গিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু সেখানে গিয়ে খাপ খাওয়াতে পারেননি তিনি। প্যারিসিয়ানদের চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যায় দুইবারই। আর বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মেসির প্রতি পিএসজি সমর্থকদের আচরণ আরও বেশি শত্রুভাবাপন্ন হতে শুরু করে। এমনকি শেষ ম্যাচে হারের পর সমর্থকদের দুয়োর কারণে বিদায়টাও ঠিকমতো নিতে পারেননি মেসি।  

মেসি পিএসজি ছাড়ার পর সম্ভাব্য ঠিকানা হিসেবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল বার্সেলোনা। কিন্তু তাকে যেভাবে দীর্ঘদিনের প্রিয় ক্লাব ছাড়তে হয়েছিল, তাতে আবার সেখানে তার ফিরে যাওয়ার ব্যাপারটি গুঞ্জন পর্যন্তই রয়ে গেছে। যদিও খোদ বার্সা প্রেসিডেন্ট ও ক্লাবের কোচ জাভি হার্নান্দেজ অনেকবারই বলেছেন মেসিকে ফেরানোর কথা। কিন্তু ক্লাবের আর্থিক সমস্যার সমাধান হয়নি। যে কারণে লা লিগার কাছে বিশেষ অনুমোদন চেয়েছে বার্সা। শোনা যাচ্ছে, লা লিগা অনুমতি দিয়েও দিয়েছে। কিন্তু দুই পক্ষের মধ্যে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি।  

এদিকে বার্সার আগ্রহে ভাঁটা পড়েছে সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলাল মেসিকে প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রস্তাব দেওয়ায়। কিন্তু মেসি নিজে এখনও সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। এর আগে তিনি ইন্টার মায়ামির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে চান। 'দ্য অ্যাথলেটিক' দাবি করেছে, মার্কিন মুলুকের ক্লাবটি নাকি মেসিকে বেতনের পাশাপাশি ক্লাবের আয়ের একটা অংশও দিতে চায়। মার্কিন স্ট্রিমিং জায়ান্ট অ্যাপল প্লাসও নাকি মেসিকে নিয়ে ডকুসিরিজ নির্মাণে আগ্রহী।  

এদিকে ইন্টার মায়ামিতে গেলে অ্যাডিডাস নাকি মেসির সঙ্গে লভ্যাংশ ভাগাভাগির প্রস্তাব দেবে। যদিও বিশ্ববিখ্যাত ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তুতকারী জার্মান প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ২০০৬ সাল থেকেই যুক্ত মেসি। তাদের সঙ্গে ২০১৭ সালে আজীবন মেয়াদী একটি চুক্তিতে স্বাক্ষরও করেন তিনি। যাই হোক, সবমিলিয়ে মেসিকে পাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাই করছে ইন্টার মায়ামি। কিন্তু হাল ছাড়ছে না বার্সা কিংবা আল-হিলাল। বার্সার আর্থিক সমস্যা থাকলেও, আল-হিলালের কাছে অর্থ কোনো সমস্যাই নয়। অঢেল অর্থ নিয়ে অপেক্ষায় আছে তারা। জেরার্দ রোমেরো দাবি করেছেন, প্রয়োজনে মেসিকে আরও বেশি অর্থ দিতে চায় তারা। কিন্তু তিনি নিজে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলে আরও দুয়েক মৌসুম খেলতে চান বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২৩
আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।