সদ্যই ক্যারিয়ারের অষ্টম ব্যালন ডি'অর জিতেছেন লিওনেল মেসি। প্যারিসের তিয়াটর দু শাতলে নতুন ইতিহাস গড়ার পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
২০২১ সালে তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে বার্সা ছেড়ে যান মেসি। ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ক্লাবের আর্থিক সমস্যার কারণে তা গড়ায় দুঃখজনক বিদায়ে। এরপর দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়ে পিএসজিতে পাড়ি জমান তিনি। কিন্তু সেখানে গিয়ে খাপ খাওয়াতে পারেননি আধুনিক ফুটবলের এই জাদুকর। এরপর ২০২২ বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর পিএসজি সমর্থকদের সঙ্গে সম্পর্ক একদম তলানিতে গিয়ে ঠেকে মেসির।
শেষ পর্যন্ত ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে মেসি ইউরোপের ফুটবল ছেড়ে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। যদিও এই গ্রীষ্মে তার বার্সায় ফেরা নিয়ে জোর গুঞ্জন চলছিল। কিন্তু তা হয়নি। তবে মেসির সঙ্গে বার্সার সম্পর্ক এতটাও গভীর যে, সাবেক ক্লাবকে এখনও ভুলতে পারেননি তিনি। যেভাবে বিদায় নিয়েছিলেন, তা মানতে পারেননি মেসি। সমর্থকদের কাছ থেকে মাঠ থেকে বিদায় নিতে না পারার যন্ত্রণা তাকে এখনও পোড়ায়। ব্যালন ডি'অর জেতার পরও সেই আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বার্সা থেকে বিদায় নেওয়া প্রসঙ্গে মেসি বলেন, 'বার্সা ছেড়ে আসার মুহূর্তটা ছিল তিক্ত অভিজ্ঞতার এবং আমার তা ভালো লাগেনি। গল্পের শেষটা আমি বদলে দিতে চাই। যে মানুষগুলো আমাকে এত আনন্দ দিয়েছে তাদের ভালোভাবে বিদায় জানানোর সুযোগ আমার প্রাপ্য। এমনটা ঘটলে অবশ্যই আমি খুশিমনে সেখানে যাবে। '
অনেকদিন থেকেই শোনা যাচ্ছে ক্যারিয়ারের শেষবেলায় বার্সায় ফিরবেন মেসি। তিনি নিজেও ইঙ্গিত দিলেন ফেরার, তবে খেলোয়াড় হিসেবে নয়; অন্য কোনো ভূমিকায়। তিনি বলেন, 'বার্সা এমন এক ক্লাব যেখানে আমি বেড়ে উঠেছি। তারা আমাকে সব দিয়েছে, ভালোবাসা এবং সবকিছু। তাহলে কেন ফিরবো না? তবে এখনই এটা নিয়ে ভাবছি না। কোচের কাজটা আমার পছন্দের, কিন্তু এটা বদলেও যেতে পারে। একদিন আমি আবার বার্সায় বাস করবো, তখন ক্লাবের কাছাকাছি যেকোনোভাবে আমি থাকবো। '
ইন্টার মায়ামিতে ভালো সময় কাটালেও বার্সাকে এখনও মিস করেন মেসি। ক্লাবটির প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'অবশ্যই বার্সা বিশ্বের সেরা ক্লাব যারা অনেক সমষ্টিগত এবং ব্যক্তিগত অর্জনের সুযোগ করে দেয়। এটা ইতিহাসের সেরা দল, বিশেষ এবং অন্যদের চেয়ে আলাদা। বার্সায় আমি দারুণ কয়েকটি বছর কাটিয়েছি এবং বিশ্বের সেরা ক্লাবে খেলতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। এরপর বিশ্বকাপ জিতলাম, যা অবশ্যই বিশেষ কিছু এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সবারই দলের হয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন থাকে, অন্তত আর্জেন্টাইনদের। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। '
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২৩
এমএইচএম