ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দুর্দশা কাটেনি। দলটি ১৫ নম্বরে উঠে আসা নটিংহাম ফরেস্টের কাছে হেরেছে ২-১ গোলে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৯টি ম্যাচ হেরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা ১০ দলের কেউই এত বেশি ম্যাচ হারেনি। সবমিলিয়ে চলতি মৌসুমে মোট ১৪টি ম্যাচে হেরেছে এরিক টেন হ্যাগের শিষ্যরা। সবশেষ ঘরের মাঠে নটিংহ্যাম ফরেস্টের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে ইউনাইটেড। এই হারটি ৯৩ বছর পর লিগে সবচেয়ে বাজেভাবে মৌসুম শুরুর তেতো স্বাদ উপহার দিয়েছে ইউনাইটেডকে। এর আগে লিগে ইউনাইটেডের এত বাজে মৌসুম শুরুর ঘটনাটি ছিল ১৯৩০ সালে।
ফরেস্টের মাঠে ৬৪ মিনিটে পিছিয়ে পড়ার ১৪ মিনিট পর মার্কাস রাশফোর্ডের গোলে সমতায় ফিরেছিল ইউনাইটেড। তবে ৮২ মিনিটে আবার পিছিয়ে পড়ে তারা। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি।
এ বছর সব মিলিয়ে ২১টি ম্যাচ হেরেছে ইউনাইটেড। নিজেদের ইতিহাসে এক বছরে এর চেয়ে বেশি ম্যাচ এর আগে তিনবারই হেরেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
অন্যদিকে শুধু আর্লিং হ্যালন্ড ও কেভিন ডি ব্রুইনি নয় ম্যানচেস্টার সিটির জোন স্টোনস-কাইল ওয়াকাররাও আছেন ইনজুরিতে। তাতে শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে জয় আটকায়নি পেপ গার্দিওলার দলের। ঘরের মাঠে ২-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে তারা। শক্তভাবে ফিরেছে শিরোপা লড়াইয়ে।
শেফিল্ডের বিপক্ষে শুরুতে লিড নেয় ম্যানসিটি। ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রদ্রি ১৪ মিনিটে দলকে লিড এনে দেন। কখনো হ্যালন্ড, কখনও কেভিন ডি ব্রুইনার শূন্যস্থান পূরণের দায়িত্ব সামলানো তরুণ আলভারেজ ৬১ মিনিটে দলের জয়ের ব্যবধান বড় করেন।
এই জয়ে ১৯ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে তিনে উঠে এসেছে ম্যানসিটি। দুই পয়েন্ট বেশি নিয়ে অ্যাস্টন ভিলা দুইয়ে থাকলেও তারা ম্যাচ খেলেছে একটি বেশি। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ১৯ ম্যাচে ৪২। অন্যদিকে এক ম্যাচের ব্যবধানে শীর্ষস্থান থেকে চারে নেমে গেছে আর্সেনাল। গানারদের পয়েন্ট ৪০। তবে গোল ব্যবধানে ম্যানসিটির চেয়ে পিছিয়ে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩
এআর